মালদায় শুভেন্দু সভায় অনুমতি দিল না পুলিশ, কলকাতা হাইকোর্টে বিরোধী দলনেতা

বিরোধী দলনেতা নিয়ম না মেনে সভা করতে চান। আর তার জন্য নিয়ম মেনে আবেদন করেন না বলে অভিযোগ পুলিশের। তাই শুভেন্দু অধিকারীরকে সভা করার অনুমতি দেওয়া যায় না। আগেও চন্দ্রকোণা, সিমলাপালে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে সভা করার অনুমতি আদায় করে নিয়ে এসেছিলেন। এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা দিল। এবার মালদায় সভা করার পরিকল্পনা করেছেন শুভেন্দু। সে কথা ঘোষণাও করা হয়েছে। কিন্তু মেলেনি পুলিশের অনুমতি। অগত্যা কলকাতা হাইকোর্টে বিরোধী দলনেতা।

এদিকে মালদায় ২৭ মে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা করার কথা। আর তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কারণ মেলেনি পুলিশের অনুমতি। তাই এখন কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। পুলিশের বক্তব্য, কেন ১৫ দিন আগে অনুমতি চাওয়া হয়নি? শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অনলাইনে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই আবেদন পরে করা হয়েছে। এই কথা মানতে নারাজ পুলিশ। তাই আজ, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর অবকাশকালীন বেঞ্চে।

আগে ঠিক কী ঘটেছিল?‌ অন্যদিকে আগে ২৪ মে হাওড়ার শ্যামপুরে একই ঘটনা ঘটে। শুভেন্দুর সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তখন কলকাতা হাইকোর্টে দিয়ে অনুমতি পান তাঁরা। শুভেন্দু অধিকারী মালদার সভা নিয়ে আগেই রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, পাঁচ গুণ বেশি জমায়েত ওই সভায় করবেন তিনি। কারণ এই মালদায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একমঞ্চে সভা করেছিলেন। তাতে জনজোয়ার দেখা গিয়েছিল। এবার তার থেকেও বেশি জমায়েত করাই চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর কাছে।

ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু?‌ এই সভা করা নিয়ে রাজ্য সরকারে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি আগেই বলেন, ‘‌মালদায় তৃণমূলের নবজোয়ারের পাঁচ গুণ বেশি লোক নিয়ে সভা করব। পারলে পিসি–ভাইপো আটকে দেখুক।’‌ এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে যায়। আর এখন পুলিশের অনুমতি পাননি তিনি। সেখানে পুলিশের হাতে রয়েছে আইনের বেড়াজাল। যা দেখিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেটা আদালতেও দেখাবে পুলিশ। তারপর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সভার ভাগ্য নির্ধারণ করা হবে। এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্ট দু’‌পক্ষের সওয়াল–জবাব শুনে কি নির্দেশ দেয়।