Bangla Bandh: বাংলা বনধ ডাকলেন আদিবাসীরা, বিপাকে তৃণমূল

মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডাকল আদিবাসী সংগঠনগুলি। শনিবার আদিবাসীদের ১৪টি সংগঠনের ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশনস অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’।

শনিবার বাঁকুড়ার রাঢ় অ্যাকাডেমিতে বৈঠকে বসেন আদিবাসী সংগঠনের নেতারা। সেখানে কুড়মি আন্দোলনের পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। আর তাতে হাতিয়ার হিসাবে বেছে নেওয়া হয় মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়িতে হামলার ঘটনাকে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ৮ জুন ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে আদিবাসীদের যৌথ সংগঠন।

১৪ টি সংগঠনের মধ্যে রয়েছে ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল, ভারতীয় আদিবাসী ভূমিজ সমাজের মতো সংগঠন। ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের নেতা বিপ্লব সোরেন বলেন, ‘বিরবাহা একজন মন্ত্রী। তার গাড়িতে হামলা হয়েছে। তাই আমরা বনধ ডেকেছি।’

আদিবাসী সংগঠনগুলির ডাকা এই বাংলা বনধে তৃণমূল কী অবস্থান নেয় তা নিয়ে কৌতুহলি রাজনৈতিক মহল। ক্ষমতায় আসার পর নীতিগতভাবে নিজেদের বনধ বিরোধী বলে ঘোষণা করেছে তৃণমূল। বাম ও বিজেপির ডাকা বনধের বিরোধিতায় সক্রিয় ভাবে রাস্তায় নেমেছে তারা। যাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগও উঠেছে। বনধে অংশগ্রহণকারীদের বেতন কেটে নিয়েছে সরকার। তাদের কর্মজীবনে ছেদের হুমকি দিয়েছে। এবার দেখার আদিবাসীদের ডাকা এই বনধে কী অবস্থান নেয় রাজ্যের শাসকদল।