RJD’s Controversial Tweet on New Parliament: নয়া সংসদ ভবনকে কফিনের সঙ্গে তুলনা RJD-র, লালুর দলকে পালটা তোপ BJP-র

আজ উদ্বোধন করা হল ভারতের নয়া সংসদ ভবনের। আগের বৃত্তাকার সংসদ ভবনের থেকে এই ভবনের আকার আলাদা। ত্রিকোণা এই বিল্ডিংটি আগের সংসদভবনের থেকে অনেক বেশি আধুনিক। পাশাপাশি ভারতীয় সংসকৃতির বিভিন্ন দিক জড়িয়ে আছে নয়া এই সংসদ ভবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। নয়া ভবনে লোকসভার কক্ষ তৈরি করা হয়েছে ময়ূরের আদলে। এই সংসদ ভবনের মিরজাপুরের গালিচা থেকে শুরু করে রাজস্থানের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। মুম্বই থেকে আনা হয়েছে আসবাব। আর এই সংসদ ভবনের আকারকে কটাক্ষ করে আজ সকালে টুইট করে বিহারের শাসকদল আরজেডি। আরজেডির অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে বিতর্কিত টুইটটি করা হয়। যা নিয়ে পালটা তোপ দেগেছে বিজেপি।

আজ সকালে আরজেডির তরফে একটি কোলাজ ছবি পোস্ট করা হয়। তার একদিকে কফিন ,অপরদিকে নয়া সংসদ ভবনের ছবি। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘এটা কী?’ আরজেডির সেই টুইটের স্ক্রিনশট পোস্ট করে এরপর তোপ দাগেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। বিজেপি নেতা টুইটে লেখেন, ‘আজ একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং দেশ এর জন্য গর্বিত। আপনারা এই সময়ে দেশের ওপর নজর দিচ্ছেন, আর কিছুই করছেন না। নিজের বুকে নিজেই মারতে থাকুন। ২০২৪ সালে দেশের জনগণ আপনাদেরই এই কফিনে সমাহিত করবে এবং আপনাকে নতুন গণতন্ত্রের মন্দিরে প্রবেশের সুযোগও দেবে না। আপনার কফিন হবে এই সংসদ।’ এদিকে বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা আরজেডিকে তোপ দেগে টুইট করে লেখেন, ‘এটাই আরজেডির রাজনৈতিক জীবনের কফিনে শেষ পেরেক।’ এরপর শেহজাদ আরও লেখেন, ‘ভারতীয় ঐতিহ্যে ক্রিকোণের অনেক মাহাত্ম রয়েছে। এমনিতেও কফিনের ছ’টি দিক রয়েছে।’

এদিকে বিতর্ক শুরু হতেই আরজেডি এই পোস্ট নিয়ে সাফাই দেয়। দলের নেতা শক্তি সিং যাদব বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে পুঁতে ফেলা হয়েছে। সেটা বোঝাতেই এই পোস্ট করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের টুইটের কফিনটির অর্থ, গণতন্ত্রকে সমাহিত করা হয়েছে। তারই প্রতীক হিসেবে এই কফিনের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। দেশ এটা মেনে নেবে না। সংসদ গণতন্ত্রের মন্দির এবং এটি আলোচনার জায়গা।’ প্রসঙ্গত, আজকে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দেয় ১৯টি বিরোধী দল। কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাজগম (ডিএমকে), বামদলগুলি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডিইউ), জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি), সমাজবাদী পার্টি, উদ্ধব ঠাকরের শিব সেনা যৌথভাবে এক বিবৃতি পেশ করে উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা করে। এরপর থেকেই এই নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।