অভিষেকের কনভয় হামলায় নয়া মোড়, শালবনি–কাণ্ডের তদন্তভার নিল সিআইডি

শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি উত্তাল। ইতিমধ্যেই কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের জেরা করা চলছে। এই আবহে অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর আজ, সোমবার ঝাড়গ্রাম থানায় পৌঁছেছে সিআইডি টিম। শালবনির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। ওই আটক ব্যক্তির নাম নিশিকান্ত মাহাত। এই ঘটনায় আগে হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঝাড়গ্রাম পুলিশ। আজ তাদের জেরা করতে পারে সিআইডি বলে সূত্রের খবর।

এদিকে শালবনির সভা থেকে নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতো–সহ চারজনকে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় শনিবার রাজেশ মাহাতোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগে তাঁকে খড়গপুর থেকে কোচবিহারের সিতাইয়ে বদলি করে প্রাথমিক শিক্ষা দফতর। রাজেশবাবুর বদলি প্রতিহিংসামূলক বলে সরব হয়েছে বিজেপি। তার মধ্যেই এবার তদন্ত ভার নিল সিআইডি। কনভয়ে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হলেন আরও এক কুড়মি নেতা। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট–সহ একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে কনভয়ে হামলার ঘটনায় ধৃতের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়াল ৯।

অন্যদিকে এই কনভয় হামলার দিন সন্ধ্যায় ৫ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষ। শালবনি এলাকায় অভিষেকের কনভয় যাওয়ার সময় বিক্ষোভ বাড়ে। তখনই কনভয়ে হামলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকী মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে ইট মারা হয়। তাতে মারাত্মক ক্ষতি হয় গাড়ির। আর এক নিরাপত্তা কর্মীর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মন্ত্রীর গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। কনভয়ে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে কুড়মিদের প্রতিবাদ জঙ্গি আন্দোলনে পরিণত হয় বলে অভিযোগ।

সেদিনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। এমনকী গাড়ি থেকে নেমে এসে চিৎকার করে হুঁশিয়ারি দেন। শেষ দেখে ছাড়বেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি’‌র সঙ্গে কথা বলেন। আর ঝাড়গ্রাম পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে। তদন্তে নেমে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে তাদের জামিন খারিজ হয়েছে। যদিও এই কাজ কুড়মি ভাই–বোনেরা করেনি বলে জানান অভিষেক–মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেপথ্যে বিজেপি আছে বলে দাবি তাঁদের। এবার এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি। ঝাড়গ্রাম পুলিশকে কেস ডায়েরি–সহ সব নথি সিআইডি’‌কে দিতে বলা হয়েছে।