Sagardighi Model: তিন মাসেই উলটো সুর, তৃণমূলে যোগ দিয়েই অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সাগরদিঘির বাইরন

জলে চলে গেল সাগরদিঘি মডেল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে চলে গেলেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। বাম সমর্থিত কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন বাইরন। সেই বাইরনই চলে গেলেন তৃণমূলে। ধাক্কা খেল সাগরদিঘি মডেল। আর সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল তৃণমূলে যোগদান করার পরেই কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে নালিশ করলেন বাইরন।

সংবাদমাধ্যমে বাইরন জানিয়েছেন, তৃণমূল ছাড়া রাজনীতি করা সম্ভব নয়, মানে বলতে চাইছি উন্নয়ন করার জন্য় তৃণমূল করতে হবে। সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি পদত্যাগ করবেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে বাইরন বলেন, যদি অভিষেকদা যেটা বললেন, যদি ওরকম কোনও নিয়ম থাকে তবে আমি দেখিয়ে দেব।

আর অধীর চৌধুরী প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, বিজেপির ব্যাপারে আমি সেরকমভাবে বলতে দেখিনি।বিজেপির ব্যাপারে কেন বলছেন না উনি। টিএমসির ব্যাপারে শুধু বলতেন। টিএমসিকে নীচু করার একটা ব্যাপার ছিল। টিএমসি ভালো প্লাটফর্ম ভেবেই আমি চলে এলাম।

এর সঙ্গেই বাইরনের সংযোজন, আমি কংগ্রেসের ভোটে জিতিনি। এটা পার্সোনাল ব্যক্তিত্ব ছিল। জনগণের হয়ে কাজ করেছিলাম। তাই জনগণ জিতিয়েছিল। ভোটে দাঁড় করাক। তখন দেখা যাবে।

তিন মাসেই ঘুরে গেলেন বাইরন। জেতার পরেই তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলে যাওয়ার কোন ব্যাপার নেই। কংগ্রেসে যেমন আছি থাকব। আর মে মাসে শেষে এসে বললেন তৃণমূল ভালো প্লাটফর্ম। বাম কংগ্রেসকে শূন্য় করে দিয়ে ঘাসফুল শিবিরে চলে গেলেন বাইরন বিশ্বাস। বাংলার রাজনীতিতে আবার সেই ভোটে জিতেই দল বদলের রাজনীতি দেখলেন বঙ্গবাসী।

এবছর মার্চ মাসে সাগরদিঘির ফল ঘোষণা করা হয়েছিল। আর সেখানেই তিনি বিধায়ক হয়েছিলেন। উল্লসিত হয়েছিল বাম-কংগ্রেস শিবির। বিধানসভার ওই আসনে বাইরনকে জেতানোর জন্য় একেবারে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। আর সেই অধীর চৌধুরী সম্পর্কেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বাইরন।

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জেতার পর থেকেই বাইরন তৃণমূলের পক্ষে সুর নরম করে দিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, কার্যত মুখিয়ে ছিলেন বাইরন। তিন মাসের মধ্যে উলটো সুর গেয়ে চলে গেলেন তৃণমূলে। পশ্চিম মেদিনীপুরের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির ক্যাম্পে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বাইরন। তবে প্রশ্নটা থেকেই গেল তবে এত ঢাকঢোল পিটিয়ে কেন তিনি কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন? কংগ্রসের নীচুতলার কর্মীদের মতে, এটা বিশ্বাসঘাতকতা।