একসঙ্গে ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু, হাওড়া–নয়াদিল্লি রুটে বিঘ্নিত ট্রেন পরিষেবা

কাজ করে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আর ফেরা হল না। কারণ ৬ জন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। একসঙ্গে এই হাফ ডজন শ্রমিকের মৃত্যুতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। রেলের ওভারহেড তারে কাজ করছিলেন তাঁরা। আর সেখানেই ঝলসে মৃত্যু হল ৬ জনের। আজ, সোমবার এই ঘটনা ঘটায় বিঘ্নিত হল রেল পরিষেবা। আর থেমে গেল ট্রেনের চাকা। যার প্রভাব পড়েছে হাওড়া–নয়াদিল্লি রুটের ট্রেন পরিষেবায়। এমনকী বন্ধ হয়ে যায় স্থানীয় স্টেশনগুলিতে লোকাল ট্রেন চলাচল। রেল সূত্রে খবর, ডিআরএম–সহ ধানবাদ ডিভিশনের রেলের অফিসার এবং রেলের চিকিৎসকরা সড়কপথে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ধানবাদ থেকে মেডিকেল ভ্যানও সেখানে পাঠানো হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছে সেখানে?‌ আজ, সোমবার দুপুরে কাতরাসের ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশনের নিচিতপুর রেলগেটের কাছে ওভারহেড তারে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। হাওড়া–নয়াদিল্লি রেলরুটে ধানবাদ এবং গোমোর মাঝখানে নিচিতপুর গেট। সেখানেই ২৫ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারে কাজ চলছিল। এই ওভারহেড তারে কাজ চলাকালীন দুর্ঘটনাবশত হাইভোল্টেজ বিদ্যুতের তার সংস্পর্শে এসে যায়। আর তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে মারা যান ৬ জন শ্রমিক। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পাশাপাশি আহতও হয়েছেন অনেকে বলে রেল সূত্রে খবর।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই ৬ জন শ্রমিক কাজ করে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে তাঁদের পরিবারে গেল শোকের খবর। স্বজনহারানো পরিবারে এখন নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটায় তার প্রভাব পড়ল লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলে। কালকা থেকে হাওড়াগামী ডাউন নেতাজি এক্সপ্রেসকে তেঁতুলমারি স্টেশনে থেমে যেতে হয়। তারপর হাওড়া থেকে বিকানেরগামী প্রতাপ এক্সপ্রেসের চাকা ধানবাদ স্টেশনে থেমে যায়। এখন ওই রুটে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে খবর।

ঠিক কী বলছে রেল?‌ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ফলে একদিকে চাপে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। আবার বড় চাপের সম্মুখীণ হয়েছে রেল। এই বিষয়ে ধানবাদ রেল ডিভিশনের ডিআরএম কমল কিশোর সিনহা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ওভারহেড তারের কাজ চলছিল সকাল থেকে। সেই কাজ চলাকালীন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আর তার জেরে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ চলছে।’ পুলিশের তদন্ত এখন শুরু করেছে। এরপর আরপিএফ তদন্ত করবে। এমনকী বিভাগীয় তদন্তও হবে বলে খবর।