Kaku of Kalighat: ১৪দিনের হেফাজতে কালীঘাটের কাকু, আদালত থেকে বেরিয়েও মুখে কুলুপ, শুনলেন চোর চোর ডাক

১৪ দিনের ইডি হেফাজতে গেলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইডির তরফে ১৪ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন মেনে নিয়েছে। তাকে ১৪ দিনের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ। তবে যে কাকু সব ব্যাপারেই সংবাদমাধ্যমের সব প্রশ্নের জবাব দিতেন সেই কাকু এদিন আদালত থেকে বেরিয়েও নীরব।

তবে এবার ইডির হেফাজতে গিয়ে কাকু মুখ খোলেন কি না সেটাই দেখার। তবে সূত্রের খবর, ইডির হেফাজতে যাওয়ার আগেই অনশন শুরু করেছিলেন কালীঘাটের কাকু। তিনি নাকি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে ইডির আইনজীবী অবশ্য আদালতে জানিয়েছিলেন, জবাব এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তিনি এই পথ ধরেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কোনও কৌশলই কাজে লাগল না। ১৪ দিনের ইডির হেফাজতে পাঠানো হল কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। কিন্তু তিনি আগেই বিভিন্ন প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে খবর।

মুদিখানার দোকান থেকে চাকরির ঠিকাদারির অভিযোগ। তৃণমূলের একেবারে শীর্ষ মহলে নাকি তার অবাধ যাতায়াত ছিল। চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রেও তার নানা হাত। এবার সেই কাকু কতটা তথ্য ইডিকে দেন সেদিকেই কৌতুহল বঙ্গবাসীর।

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তিনি প্রথম থেকেই বলে আসছেন তিনি নাকি দুর্নীতির কিছুই জানেন না। তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর সাহেবের নাম অভিষেক। সেই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র এবার ইডির হেফাজতে।

তবে বাংলা সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের খবর অনুসারে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের আত্মীয়রা জানিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ একটা সময় আরএসএস করতেন। পরে তিনি তৃণমলে ভিড়ে যান। সেই কাকুকেই গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

জোকা ইএসআই হাসপাতালে কালীঘাটের কাকুকে দেখে স্লোগান ওঠে চোর চোর। ওরে চোর এসেছে। পালিয়ে আয়। পালিয়ে আয়।

তবে সূত্রের খবর, কালীঘাটের কাকু ছিলেন কার্যত মিডলম্যান। টাকা আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে তিনি বড় ভূমিকা নিতেন। কুন্তল থেকে মানিক ভট্টাচার্য সকলের সঙ্গেই ছিল তার নিবিড় যোগাযোগ। শুধু প্রভাবশালী নন, চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি একেবারে অতি প্রভাবশালী। রীতিমতো বিত্তশালীও। কিন্তু তিনি এত অর্থ কোথা থেকে পেতেন সেটাও প্রশ্নের।