ন্যাশানাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং( NCERT) এবার দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বই থেকে খলিস্তান প্রসঙ্গটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনসিইআরটির বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মিটিংয়ে এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘Politics in India since Independence’ নামক বইতে এই খলিস্তান শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত?
সূত্রের খবর, শিরোমণি গুরুদোয়ারা প্রবন্ধক কমিটি এনসিইআরটির কাছে একটি চিঠি লিখেছিল। সেখানে তারা উল্লেখ করেছিল ১২ ক্লাসের বই থেকে খলিস্তান শব্দটি বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে শিখরা বিচ্ছন্নতাবাদী বলে যেভাবে বইতে দেখানো হয়েছিল সেই অংশটি বাদ দিতে হবে বলে তারা চিঠিতে জানিয়েছিলেন।
এদিকে গত মাসে এসজিপিসি চিফ হরজিন্দর সিং ধামি জানিয়েছিলেন, ন্যাশানাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন রিসার্চ ও ট্রেনিং তাদের পাঠ্যবইতে আনন্দপুর সাহিব নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য় পেশ করেছে।এরপরই এনিয়ে নড়েচড়ে বসল এনসিইআরটি।
অনেকের মতে, পাঠ্যবইতে এই ধরনের তথ্য থাকলে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।এদিকে শিরোমণি গুরুদোয়ারা প্রবন্ধক কমিটির কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পরেই আলোচনায় বসে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এরপরই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনসিইআরটির তরফে জানানো হয়েছে, এনসিইআরটির ওয়েবসাইটে ক্লাস ১২এর ওই বইটির পরিবর্তিত অংশ আপলোড করা হচ্ছে।
এনিয়ে এনসিইআরটির তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, তৃতীয় প্য়ারাগ্রাফের শেষ লাইন, সেখানে সেপারেট শিখ নেশন এই শব্দটি বাদ দেওয়া হচ্ছে। পঞ্জাব সাব হেডিংয়ে এবার উল্লেখ করা হবে, ‘The Resolution was a plea for strengthening federalism in India’ ।
সেই সঙ্গে the creation of Khalistan এই অংশটিও এনসিআরটির পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
মূলত খলিস্তান সম্পর্কিত বিতর্কিত অংশকে এবার বাদ দেওয়া হল পাঠ্যবই থেকে। পঞ্জাব শীর্ষক পাঠ্যবইয়ের ওই অংশ লেখা হয়েছিল, ১৯৭৩ সালে আনন্দপুর সাহিব রেজোলিউশন অনুসারে পঞ্জাব রিজিয়নে স্বায়ত্ত্বশাসনের কথা বলা হয়েছিল। তবে সেই খলিস্তান সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে এবার বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত।