বাইরন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ বাতিল করা কি হবে?‌ বিধানসভার অধ্যক্ষ পেলেন চিঠি

সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জেতার তিন মাসের মধ্যে হাত ছেড়ে ঘাসফুলে এসেছেন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। তখন থেকেই বিধানসভায় শূন্য হয়ে গেল কংগ্রেস। আর তারপর থেকে দলবদলের জেরে বাইরন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ বাতিলের দাবি উঠতে থাকে। এবার এই দাবি নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেওয়া হল। একইসঙ্গে চিঠি পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনেও।

তাহলে কি বাইরনের বিধায়কপদ বাতিল হবে?‌ ইতিমধ্যেই বাইরন বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তাঁর বিধায়ক বাতিল হওয়ার কোনও সুযোগই নেই। কিন্তু এবার এসে পৌঁছেছে চিঠি। এই চিঠির পরে যদি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও পদক্ষেপ না করেন তাহলে মামলা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সৌমশুভ্র রায়। তিনিই বায়রন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ খারিজের আরজি জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষকে।

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তিনি মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন বলে দাবি করেছেন। সেখানে বিধায়কপদ খারিজ হয়ে গেলে মানুষের কাজ করবেন কী করে?‌ উঠছে প্রশ্ন। সাগরদিঘির বিধায়কের পদত্যাগের দাবি তুলে জেলাজুড়ে আন্দোলনে শুরু করেছেন বাম–কংগ্রেস নেতারা। যদিও বাইরন বিশ্বাস এসব দাবিকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‌আমার দলত্যাগের জন্য দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হয় না। তাই পদত্যাগের প্রশ্ন ওঠে না। যদি নিয়ম অনুযায়ী দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হতো, আমি পদত্যাগ করে পুনরায় নির্বাচনে দাঁড়াতাম।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ অন্যদিকে বাইরনের এই মন্তব্যের পর আরও চাপে পড়ে গিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। এবার এইসব টানাপোড়েনের মধ্যেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে চিঠি দিলেন এক আইনজীবী। ইতিমধ্যেই মুকুল, বাবুল–সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। বাইরনকে জিতিয়ে অধীর চৌধুরী দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। সেখানে এমন জোর ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি কংগ্রেস। মুকুল রায়–সহ আরও যে কজন বিধায়ক বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছেন তাঁদের কারও বিধায়কপদ খারিজ হয়নি। আবার শিশির অধিকারী বিজেপি শিবিরে ঢলে পড়লেও তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়নি। তাই বাইরন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়েও একই ঘটনা ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup