বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল জলপাইগুড়ি জেলার বানারাহাট ব্লকের ভারত–ভুটান সীমান্তের চামুর্চি চেকপোস্ট এলাকায়। ভুটান থেকে দমকল ইঞ্জিন এসে তৎপরতার সঙ্গে সেই আগুন নেভালো। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার সকালে। আগুনে তিনটি দোকান ভস্মীভূত হয়ে গেলেও অন্যান্য দোকানগুলি আগুনের গ্রাস থেকে রক্ষা পেয়েছে ভুটানের দমকল ইঞ্জিনিয়ার তৎপরতায়। ফলে স্বস্তি পেয়েছেন ভারত–ভুটান সীমান্তের ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি দোকানের মধ্যে একটি দোকানের সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে একটি দোকান থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর প্রাথমিকভাবে এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা নিজেরাই জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। কিন্তু তাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। নিমেষের মধ্যেই আগুন আশেপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। বাসিন্দারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভুটান ও ধূপগুড়ি দমকল কেন্দ্রে খবর দিলে ভুটান থেকে একটি ইঞ্জিন এসে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভারত–ভুটান সীমান্তের এই এলাকা থেকে ধূপগুড়ি দমকল কেন্দ্র অনেক দূরে থাকায় সময়মতো ইঞ্জিন এসে পৌঁছোতে পারে না। আর এই কারণেই দীর্ঘ দিন ধরে বানারহাটে দমকল কেন্দ্র তৈরির দাবি করে আসছেন ভুটান সীমান্তের বাসিন্দারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভুটানের দমকল ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপর ধুপগুড়ি কেন্দ্র থেকে দমকল ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছয়। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে সেটি এখনও পরিষ্কারভাবে জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তাঁদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন থেকেই চামুর্চি এলাকার বাসিন্দাদের যেকোনও বিপদ আপদে পার্শ্ববর্তী দেশ ভুটানের উপর নির্ভর করতে হয়। এমনকী বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য ভুটানের উপর নির্ভর করে থাকেন এই এলাকার বাসিন্দারা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup