Facebook Post: ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিজেপির দুই বিধায়কের মধ্য়ে ঝগড়া চরমে, থানাতেও নালিশ

বিষ্ণু কে ঝাঁ

দুই বিজেপি বিধায়কের মধ্য়ে লড়াই একেবারে চরমে। আর তার রেশ গিয়েছে একেবারে থানা পর্যন্ত। বিহারের দ্বারভাঙা জেলারই দুই বিজেপি বিধায়ক। একজন কেওটির বিধায়ক মুরারী মোহন ঝা । অপরজন আলিনগরের বিধায়ক মিশ্রী লাল যাদব।

মুরারী মোহন ঝা আলিনগরের বিধায়ক মিশ্রী লাল যাদবের ছেলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে নালিশ করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তাঁর দাবি সোশ্য়াল মিডিয়ায় তার মান সম্মান নষ্ট করা হয়েছে। আসলে ঘটনার কেন্দ্রে ফেসবুকে করা একটি পোস্ট। মুরারি মোহন ঝাকে সেখানে অবৈধ মদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করা হয়। তারপরই এই পোস্টকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়।

মুরারি মোহনের দাবি, এই পোস্টের মাধ্যমে তার সামাজিক মান সম্মান সব নষ্ট করা হয়েছে।

ঠিক কী ছিল এই ফেসবুক পোস্টে?

গত ১৮ মে ওই পোস্ট করা হয়েছিল। সেখানে লেখা হয়েছিল এই লোকটাকে চেনেন। নাম মহম্মদ ইকবাল আনসারি। কেওটির এমএলএ মুরারি মোহন ঝাঁয়ের আশীর্বাদে তিনি অবৈধ মদের ব্যাবসা করেন। তবে কেওটির পুলিশ সাহস দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। এমএলএ নিজেই হোটেল চালান। তিনিই তার লোকজনকে নিয়ে অবৈধ মদের কারবার করেন।

এই পোস্টকে ঘিরে হইচই পড়ে যায়। তবে কেওটির বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে আলিনগরের বিধায়ক জানিয়েছেন, আমি কেওটির বাসিন্দা। সেখান থেকেই মুরারি মোহন জিতেছেন। তবে ওই অভিযোগ নিয়ে কিছু জানি না।

এদিকে পুলিশের দাবি কেওটির বিধায়ক যে অভিযোগ করেছেন সেখানে শুধু ধীরাজ কুমারের নাম রয়েছে। সেখানে কোথাও তার বাবার নাম নেই। ঠিকানাও নেই। সেক্ষেত্রে তিনি আলিনগরের বিধায়ক মিশ্রী লাল যাদবের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে চাইছেন কি না সেটা পরিষ্কার নয়। গোটা ঘটনায় কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে।

আবার যে ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে এত হইচই সেই পোস্টটিকে অবশ্য় আর দেখা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে সেটা মুছে ফেলা হয়েছে।