‘Sorry মা…’ CBSE ক্লাস টেনে ৯৩.৬ শতাংশ নম্বর পেয়েও মন খারাপ, চরম সিদ্ধান্ত মেধাবী ছাত্রের

একদিকে সফলতার উচ্ছাস। আর অন্যদিকে প্রত্যাশার চাপ সহ্য করতে না পেরে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের চরম সিদ্ধান্ত। ফের প্রশ্ন চিহ্নের সামনে দাঁড় করাল সমাজ ব্যবস্থাকে।

আলিগড়ের ছাত্র দক্ষ রাঠোর। বয়স মাত্র ১৬ বছর। সিবিএসই বোর্ডের দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় সে ৯৩.৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। কিন্তু সেই নম্বরেও খুশি ছিল না ওই কিশোর। আসলে তার মনে হয়েছিল প্রত্যাশা মতো সে নম্বর পায়নি। আর সম্ভবত সেকারণেই চরম সিদ্ধান্ত নেয় ওই ছাত্র। তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ঘর থেকে। আলিগড়ের গ্রিন পার্ক অ্য়াপার্টমেন্ট এলাকায় তার বাড়ি ছিল। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে একটি নোট উদ্ধার করা হয়েছে তার ঘর থেকে। সেখানে লেখা, আমি অ্যাম সরি। পাপা মাম্মি। আমি তোমাদের নাম ডুবিয়ে দিলাম।

সংবাদ মাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া কথা বলেছিল ওই ছাত্রের বাবা অমিত নির্মলের সঙ্গে। তিনি পেশায় আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, আমার ছেলে অত্যন্ত ভালো ছাত্র ছিল। সে যা প্রত্যাশা করেছিল তেমন নম্বর পায়নি। এজন্য ভেঙে পড়েছিল। তবে এরকম চরম সিদ্ধান্ত নেবে সেটা আমরা বুঝতে পারিনি। আমরা একেবারে শেষ হয়ে গেলাম।

এদিকে এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় শোরগোল পড়েছে। এভাবে একজন মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুকে মানতে পারছেন না কেউই। তার রেজাল্ট যে একেবারে খারাপ হয়েছিল তেমনটা নয়। তবে প্রত্যাশার চাপেই হয়তো নিজেকে শেষ করে দিল সে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘর থেকে একটি নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর আগে সে কিছু জায়গায় ফোন করেছিল। এমনকী বাবা মায়ের কাছেও সে ফোন করেছিল। প্রাথমিকভাবে ঘর থেকে ফোন ও ল্যাপটপ মিলেছে। সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে মৃত্যুর ঘণ্টা দুয়েক আগে সে অনলাইনে খাবার আনিয়েছিল। তার বাব মা মুসৌরি থেকে ফিরছিলেন। তাদের সঙ্গেও সে কথাবার্তা বলে। এরপরই সম্ভবত চরম সিদ্ধান্ত নেয় সে।এরপর দেড়টা নাগাদ তার বাবা মা ফিরে আসেন। ঘর ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। এরপর দেখা যায় সিলিং থেকে শাড়ি পেঁচিয়ে ঝুলছিল ওই ছাত্রের দেহ।

ছাত্রের বাবা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ছেলেটা সব সময় বলত বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবে। খবরকাগজে তার ছবি বের হবে। কিন্তু সেসব হয়নি। এরপরই সে ভেঙে পড়ে। তার চোখ দান করা হয়েছে আলিগড় মেডিক্যাল কলেজে।