Vice Chancellor: সরকার ‘অন্ধকারে,’ উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল, পালটা বার্তা দিলেন ব্রাত্য, সংঘাত চরমে

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে এতদিন যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল সেটাই এবার একেবারে চরমে উঠল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করে দিয়েছেন। শিক্ষাদফতরের সঙ্গে কথাবার্তা না বলেই তিনি এই নিয়োগ করেছেন বলে খবর। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যের শিক্ষামহলে। বিশেষত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এনিয়ে বিস্ফোরক টুইট করেছেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। আর সেই মেয়াদ ফুরোতেই সেই চেয়ারে নতুন নাম ঘোষণা করা হল রাজভবনের তরফে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন বসুর মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। এবার সেই পদে বসানো হচ্ছে সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্তকে। এদিকে রাজ্যপালের ওই বৈঠকে অমিতাভ দত্ত ছিলেন বলে খবর।

 

রাজ্যের শিক্ষা দফতরের দাবি একতরফা ভাবে এই নিয়োগ করা হয়েছে। বুধবার রাজভবনে একটি বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়। এরপরই শিক্ষা দফতরকে কার্যত অন্ধকারে রেখে এই নিয়োগ।

কিন্তু এভাবে সার্চ কমিটি ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবলমাত্র রাজ্যপালের সম্মতিতে, রাজ্য়ের শিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখে উপাচার্য নিয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

তবে এনিয়ে বিস্ফোরক টুইট করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি লিখেছেন, সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারলাম সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মাননীয় রাজ্যপাল আজ আবার ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। এই নিযুক্তি দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা ব্যতিরেকে করা হল। যা বর্তমান উপাচার্য নিয়োগের যে নিয়ম আছে তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী ও বেআইনি। এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে আমরা বিভাগীয়ভাবে আইনি পরামর্শ নিচ্ছি ভবিষ্য়তে কী ধরনের পদক্ষেপ করা হবে সে বিষয়ে। বেআইনিভাবে নবনিযুক্ত মাননীয় উপাচার্যদের সকলকে উচ্চশিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে সসম্মান অনুরোধ থাকবে যে , তাঁরা যেন এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন। লিখেছেন ব্রাত্য বসু।

এই নিয়োগকে বেআইনিভাবে উল্লেখ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গেই এবার নবনিযুক্ত উপাচার্যদের কোর্টে বল। তাঁরা এবার কী সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার।