Hijab: স্কুলে হিজাব পরা, উর্দু কবিতা বলতে বাধ্য করা, এসব চলবে না, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ওই রাজ্যে

শ্রুতি তোমার, অনুপম পাতেরিয়া

ছাত্রীদের মাথা ঢেকে আসতে হবে। স্কার্ভ পরতে হবে, হিজাব পরতেই হবে। এসব বাধ্য়তামূলক করা যাবে না কোনও স্কুলে। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মধ্য়প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং। এদিকে সম্প্রতি দামো এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের কৃতী ছাত্রীর ছবি সামনে আসে। সেখানে দেখা যায় ওই ছাত্রী মাথায় স্কার্ভ পরে রয়েছে। এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুলে ছাত্রীদের হেড স্কার্ভ বা হিজাব পরার ক্ষেত্রে যাতে বাধ্য় করা না হয় তার নির্দেশ দিয়েছে জেলাশাসক। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের এক আধিকারিক একথা জানিয়েছেন।

শিবরাজ চৌহান একটি মিটিংয়ে জানিয়েছেন, আমি জানতে পেরেছি দামো এলাকায় একটি স্কুলে বলা হয়েছিল মাথায় কিছু একটা ঢেকে স্কুলে আসতে হবে। দেশভাগের পেছনে যে মানুষটা ছিলেন তার কবিতা বলা হচ্ছে বলে শুনলাম। আমি সতর্ক করে বলে দিচ্ছি মধ্য়প্রদেশের মাটিতে আমি এসব করতে দেব না।

সেই সঙ্গেই মধ্য়প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী যে শিক্ষা নীতির কথা জানিয়েছেন সেটাই মেনে চলতে হবে। যদি কোনও স্কুলে অন্য় কিছু শেখানো হয় বা মাথায় কিছু বেঁধে আসতে বলে তবে সেই স্কুলকে মধ্য়প্রদেশে চলতে দেওয়া হবে না।

মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, স্কুলের সকালের প্রার্থনায় কেবলমাত্র জাতীয় সংগীত গাইতে হবে।

তবে সূত্রের খবর, ২০১২ সাল থেকে গঙ্গা যমুনা হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে স্কার্ভ পরে ছাত্রীদের স্কুলে আসা বাধ্য়তামূলক ছিল। তবে সেই নির্দেশ বাতিল করা হয়েছে। এর সঙ্গে মহম্মদ ইকবালের লেখা উর্দু কবিতাও বাতিল করা হয়েছে।

তবে স্কুলের প্রশাসক হাজি মহম্মদ ইদ্রিস জানিয়েছেন, আমরা কাউকে স্কার্ভ পরে আসতে বাধ্য় করিনি। এটা পোশাক বিধির একটা অংশ। আমরা কৃতী ছাত্রীদের ছবি দিয়ে পোস্টার দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা যদি কাউকে আহত করে আমরা ক্ষমা চাইছি।

এদিকে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো টুইট করে জানিয়েছিলেন হিন্দু ও অন্যান্য অমুসলিম ছাত্রীদেরও বোরখা ও হিজাব পরে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে। তারপরই এনিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়।