Viral News: বাথরুমে কী করেন অত ক্ষণ! রোজ অফিসে ৬ ঘণ্টা বাথরুমে কাটানোয় চাকরি গেল কর্মীর

আট ঘণ্টার অফিস। তার মধ্যে ছ’ঘণ্টাই কাটে বাথরুমে। আর তাই চাকরি হারালেন এক ব্যক্তি। তাঁর সহকর্মীরা দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদালতের। সেখানেও বিশেষ কিছু লাভ হল না। আদালতও রায় দিল প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই। কী হয়েছিল এখানে?

ঘটনাটি হালের নয়। এর শুরু ২০০৬ সালে। ঘটনাস্থল চিনের এক শহর। সেখানে এক বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি নেন এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তি প্রথম কয়েক বছর কোনও অসুবিধাই ছিল না। কিন্তু প্রথম সমস্যা দেখা দেয় ২০১৪ সালে। সেই সময়ে এই ব্যক্তি, যাঁকে তাঁর সহকর্মীরা ডাকেন ওয়াং নামে, তিনি জানান, তাঁর মলদ্বারে একটি সমস্যা হয়েছে। ফলে তাঁকে বার বার বাথরুম দৌড়োতে হচ্ছে। 

(আরও পড়ুন: ‘সেক্স চ্যাম্পিয়নশিপ’! এই খেলায় জিতবেন তিনি, যিনি নাকি ‘ষোলো কলা’য় পারদর্শী)

এর পরে তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত হয়। তিনি সুস্থও হয়ে যান বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও তাঁর সমস্যা কমেনি। প্রতি দিন অফিসে এসেই বাথরুমে ছুটতেন তিনি। এভাবেই গোটা বছর কাটিয়ে দেন। কোম্পানির রেকর্ড বলছে, দিনের মাথায় তিন থেকে চার বার করে বাথরুমে যেতেন তিনি। সবচেয়ে কম সময়ের জন্য যখন গিয়েছিলেন, সেটি ছিল ৪৭ মিনিটের জন্য। আর কখনও কখনও সেটি পৌঁছে যেত তিন থেকে চার ঘণ্টায়। 

(আরও পড়ুন: ভুল পদ্ধতিতে লাগানো হল স্যালাইনের ক্যানুলা! প্রাণ বাঁচাতে হাত কাটা গেল মহিলার)

এর পরে ওয়াংকে কোম্পানি তরফে বার বার জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি এর সমাধান হিসাবে কী ভাবছেন? কিন্তু তিনি নাকি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এর পরে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। আদালতের দ্বারস্থও হন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। 

(আরও পড়ুন: হয়ে যাক চোখের পরীক্ষা! ছবিতে কোন সংখ্যা দেখতে পাচ্ছেন? উত্তর বলে দেবে চোখের হাল)

এর পরে তাঁর সহকর্মীরাও তাঁর পাশে দাঁড়ান। তাঁরাও আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁরা বলেন, ওয়াংকে এই ভাবে বরখাস্ত করার কোনও অর্থ হয় না। বিশেষ করে তিনি যখন শারীরিক কারণেই এত ক্ষণ বাথরুমে কাটাতে বাধ্য হচ্ছিলেন। কিন্তু আদালতে তাঁদের দাবি খারিজ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত আদালত মালিকপক্ষের হয়েই রায় দিয়েছে। এবং বলা হয়েছে,  এই ক্ষেত্রে ওয়াংকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ সঠিক। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup