Laughing gas: ‘মজাদার’ লাফিং গ্যাসেই ভয়ংকর ক্ষতি তরুণ-কিশোরদের, কেন বিপদে ভারত

অনেকের ধারণা লাফিং গ্যাস বেশ মজাদার গ্যাস। গ্যাসটি আদৌ বিষাক্ত কি বিষাক্ত নয় তা অনেকেই জানেন না সম্প্রতি একটি গবেষণা জানাচ্ছে তরুণ ও কিশোরদের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করছে এই গ্যাস। প্রাপ্তবয়স্ক, তরুণ এবং কিশোরদের স্নায়ুর ভয়ংকর ক্ষতি করে দিচ্ছে এই লাফিং গ্যাস। সম্প্রতি ১১৯ জন রোগীকে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায় ওই গবেষকদের দল। লাফিং গ্যাসের বিষক্রিয়ায় তাদের মধ্যে কিছু স্নায়বিক (নিউরোলজিকাল) সমস্যা দেখা দেয়। রোগীদের উপরেই এই পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা।‌ হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৮৫ শতাংশেরই স্নায়ু অতি সক্রিয় ছিল। দুই হাত ও পা জুড়ে থাকা স্নায়ুর মধ্যেই বেশি অস্বাভাবিকতা দেখা গিয়েছে। এই সমস্যাকে মূলত মেরুদন্ড এবং পেরিফেরাল নার্ভের সমস্যা বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: দাঁত আর ব্রাশে মিল না হলেই বিপদ! ভুল ব্রাশ দিয়ে দিনের পর দিন দাঁত মাজছেন না তো

আরও পড়ুন: গরুর ওষুধ মিশিয়েই বিক্রি বেআইনি মাদক, নেশা করতে গিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

তবে শুধু স্নায়ুর ক্ষতি করছে লাফিং গ্যাস, তেমনটাও কিন্তু নয়‌। এর পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন ক্রিয়া বিক্রিয়াতেও প্রভাব ফেলছে এই মারাত্মক গ্যাস। ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মূত্রথলির সমস্যা থেকে পেটের গোলযোগ ইত্যাদি নানা সমস্যাই লাফিং গ্যাসের কারণে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। এছাড়াও পুরুষদের গোপনাঙ্গ সঠিক সময়ে উত্তেজিত না হওয়ার সমস্যাও দেখা গিয়েছে একাধিক রোগীর মধ্যে। বেশ কিছু রোগী এই গ্যাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে শরীরের টাল ঠিকমতো রাখতে পারেন না। এমনকি মাঝে মাঝেই তাদের মেরুদন্ডে বৈদ্যুতিন শক লাগার মত অনুভূতি হয়। লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই গবেষণা করা হয়। ২০২২ সালে লন্ডনের ম্যানচেস্টার, বার্মিংহাম ও লন্ডন এই তিনটি হাসপাতালে প্রচুর সংখ্যায় রোগী ভর্তি হয়। লাফিং গ্যাসের ড্রাগ ব্যবহার করে অসুস্থ হয়ে পড়েন এই ব্যক্তিরা। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁদের। 

গত বছর লন্ডনের তিনটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অধিকাংশ রোগীদের গড় বয়স ছিল ২২। তবে ১৪ বছরের কিশোর কিশোরীদেরও পাওয়া গিয়েছে রোগীদের ভিড়ে। মোট রোগীর সংখ্যার তিন ভাগের চার ভাগের তিন ভাগই ছিল পুরুষ। এই সবকিছুর মধ্যে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের কথায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এশিয়ান পুরুষদের সংখ্যাই বেশি ছিল। গবেষকদের মতে, জেনেটিক কারণে এই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় এশিয়ানদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup