Kolkata Metro: মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিলেন তরুণ-তরুণী,জরুরী ব্রেক কষলেন চালক, তারপর…

সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৩৪ মিনিট। মেট্রোতে অফিস ফেরৎ যাত্রীদের ভিড়।এমন সময়ে নোয়াপাড়া ডাউন লাইনে আচমকাই ঝাঁপ দেন এক তরুণ ও তরুণী। যুগল এদিন মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। তবে চালক বিষয়টি আঁচ করে জরুরী ব্রেক কষে দেন। এতে ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। 

তবে সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরে দ্রুত তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়। তবে তরুণের মৃত্য়ু হয়েছে বলে খবর। কিন্তু তরুণী বেঁচে গিয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি  করা হয়েছে। 

এদিকে অফিস টাইমে এই ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই মেট্রো স্টেশনে শোরগোল পড়ে যায়। লাইন থেকে তাঁদের সরানোর চেষ্টা করা হয়। সেটা করতেই কিছুটা দেরি হয়ে যায়। সব মিলিয়ে দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরীশ পার্ক পর্যন্ত মেট্রো চলাচল বিঘ্নিত হয়। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে এই পরিস্থিতি চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত মেট্রো রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

এদিকে মেট্রো স্টেশনে যাতে কেউ আত্মহত্য়া করতে না পারে সেজন্য় সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চালানো হয়। এমনকী আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে নানা হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া থাকে। পাশাপাশি সুরক্ষা কর্মীরাও নজর রাখেন নিয়মিত। আবার শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত যে মেট্রোর রুট সেখানে লাইনের বাইরে নির্দিষ্ট গেটের ব্যবস্থা করা রয়েছে। একমাত্র মেট্রো এলেই এই গেট খোলে। সেক্ষেত্রে কারোর ইচ্ছা থাকলেও এই গেট পেরিয়ে লাইনের কাছে চলে যেতে পারেন না। এসবের জেরে কিছুটা হলেও আত্মহত্যা ঠেকানো সম্ভব হয়। কিন্তু দমদম লাইনে এই ধরনের গেটের ব্যবস্থা নেই। তার জেরে কেউ ইচ্ছা করলেই লাইনের কাছে চলে যেতে পারেন। 

তবে ওই দুজনের কেন আচমকা এভাবে ঝাঁপ দিতে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তাদের মধ্য়ে কী সম্পর্ক ছিল সেটাও দেখা হচ্ছে।