বাংলার ৬২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত হয়নি ১৮২ দেহ, মানসিক ট্রমায় থাকাদেরও অর্থ সাহায্য, জানালেন মমতা

বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বাংলার ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৮২ জনকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁদের এখনও সনাক্ত করা যায়নি, তাঁদের শনাক্ত করার জন্য জেলায় জেলায় ছবি পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবার ও আহতদের সাহায্য করার পাশাপাশি দুর্ঘটনার পর যাঁরা মানসিক ট্রমায় রয়েছেন তাঁদেরও আর্থিক সাহায্য দেবে রাজ্য সরকার।

কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বালেশ্বরে প্রতিনিধি পাঠাই। মৃতদের মধ্যে বাংলার ৬২ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ১৮২ জনকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। বাংলা থেকে ১৫০টির বেশি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে। ৫০ জনের মতো চিকিৎসক ও নার্স, বাস পাঠিয়েছি। বিপর্যয় মোকাবিলা দল পাঠিয়েছি। আমরা রাত থেকেই উদ্ধার কাজে সাহায্য করি। রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারের পাশে রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওড়িশার হাসপাতালে বাংলার ৭৩ জন ভর্তি রয়েছে।’

মুখ্যমন্ত্রী জানান, বালেশ্বর থেকে এনে এখনও পর্যন্ত ২০৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫৬ জন। কিন্তু ১৮২ জনের পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি। যাঁদের শনাক্ত করা যায়নি, তাঁদের মধ্যে বাংলার অনেকেই থাকতে পারেন বলে মনে করছে মুখ্যমন্ত্রী।

শুধু দুর্ঘটনায় মৃত-আহত নয়, যাঁরা এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর যাঁরা মানসিক ট্রমায় রয়েছেন তাদের আর্থিক সাহায্যে দেবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার কিছু ৫ লক্ষ টাকা সাহায্য, আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বহু মানুষ মেন্টাল ট্রমায় রয়েছেন। তাঁদের সংখ্যা অন্তত দেড়-দু’হাজার হবে। তাঁদের রাজ্য সরকার ১০ হাজার টাকা করে দেবে।’ 

তিনি আরও জানান, বালেশ্বরের পরিস্থিতির দিকে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হচ্ছে। খড়্গপুর, সাঁতরাগাছি, হাওড়া এবং নবান্ন থেকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। সীমানা এলাকায় আইএএস অফিসার মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা খড়্গপুর, মেদিনীপুর এবং ওড়িশার একাধিক জায়গায় ডিউটি করছেন। এখনও পর্যন্ত বাংলার ৭০০-৮০০ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। (আরও পড়ুন: কেন্দ্র কথা বলে বেশি, উদ্ধার তো করেছি আমরা: মমতা)