Claim Bodies in Balasore: কারও জিভ বেরিয়ে এসেছে, কেউ গিয়েছেন ঝলসে, শনাক্তকরণের জন্য বিভীষিকাময় ছবি প্রকাশ ওড়িশা সরকারের

আজ ওড়িশা সরকারের তরফে সংশোধন করা হল করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা। জানিয়ে দেওয়া হল, ২৮৮ নয়, বরং মোট ২৭৫ জবের মৃত্যু হয়েছে। তবে এরই মধ্যে মাত্র ৮৮ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে এখনও। সরকারি হিসেবে বাংলার প্রায় ৩০ জনের মৃত্যুর খবর এখনও পাওয়া গিয়েছে। এদিকে এখনও বহু মৃতদেহ শনাক্ত করা যায়নি। তাই সেগুলির ময়নাতদন্ত হয়নি। পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগও করা যায়নি। আবার গত দু’দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বালাসোরের একাধিক ছবি, ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। কোনওটাতে দেখা যাচ্ছে, কামলার তলায় চাপা পড়ে আছেন কেউ বা কারও হাত ঝুলছে। আবার কোনও ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে শোকস্তব্ধ ব্যক্তিরা এক এক করে চাদর সরিয়ে মৃতদেহের মুখ দেখছেন, যদি তাদের প্রিয়জন সেখানে থেকে থাকেন। এই আবহে যে সব দেহ এখনও শনাক্ত হয়নি, সেই দেহগুলির ছবি প্রকাশ করেছে ওড়িশা সরকার।

জানা গিয়েছে, এখনও ১৬০টি মৃতদেহকে চিহ্নিত করা যায়নি এবং তাদের পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এই আবহে মৃতদেহগুলি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বালাসোর থেকে। এদিকে যেসব মৃতদেহ এখনও চিহ্নিত হয়নি, সেগুলিকে বালাসোর থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। সেই মৃতদেহ ভালো ভাবে সংরক্ষণ করার জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ওড়িশা সরকার। জানা গিয়েছে এই মৃতদেহগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভুবনেশ্বরে। সেখানকার বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষণ করে রাখা হবে এই দেহগুলিকে। এদিকে ওড়িশা সরকারের প্রকাশিত ছবি দেখে কেউ যদি নিজের মৃত প্রিয়জনকে শনাক্ত করতে পারেন, তাহলে ১৯২৯ হেল্প ডেস্ক নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে। এই লিঙ্কে ক্লিক করে আরও বিস্তারিত জানুন (সতর্কীকরণ: ছবিগুলি বীভৎস)

জানা গিয়েছে, বাহানগা হাই স্কুল এবং উত্তর ওড়িশা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একটি অস্থায়ী মর্গে রাখা হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ। সেখান থেকে আজ শনাক্ত না হওয়া দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওড়িশার রাজধানীতে। এদিকে ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আজ থেকে আরও ৪২ ঘণ্টা সংরক্ষিত অবস্থায় রাখা থাকবে দেহগুলি। তার মধ্যে মৃতদের পরিজনরা যদি ভুবনেশ্বরে এসে হেদ শনাক্ত করতে না পারেন, তাহলে ওড়িশা সরকারই নিয়ম মাফিক সেই দেহগুলির সৎকার করবে। এদিকে ইতিমধ্যেই যেসব মৃতদেহ শনাক্ত হয়েছে, সেগুলির ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এরপর সেই দেহ পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।