Public masturbation: বাসে হস্তমৈথুনের অভিযোগে ধরা পড়েছিলেন যুবক,জেল থেকে বেরোতেই মালা পরিয়ে সংবর্ধনা

প্রকাশ্য়ে হস্তমৈথুন করার অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর তাঁকেই একেবারে গলায় রজনীগন্ধার মালা পরিয়ে স্বাগত জানালেন অল কেরালা মেনস অ্য়াসোসিয়েশন। কেরল পুরুষ সংগঠন একেবারে স্বাগত জানালেন তাঁকে। শনিবার এরনাকুলামে আলুভা সাব জেল থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। আর তখনই তাঁকে গলায় রজনীগন্ধা ফুলের মালা পরিয়ে দেন পুরুষ সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এবার আগের ঘটনাটা একটু জেনে নেওয়া যাক। শাভদ শাহ নামে ২৮ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাসের মধ্য়ে হস্তমৈথুনের অভিযোগ তুলেছিলেন দুজন তরুণী।

সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছিল। সেখানে দেখা যায় ওই তরুণী বলছেন এসব বন্ধ করো। আর তখনই বাসের দরজার দিকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যেতে শুরু করেন যুবক। এদিকে বাসের কন্ডাক্টরের সঙ্গেও তার ঝামেলা বেঁধে যায়। পরে তাকে পুলিশ ধরে ফেলে।

আর সেই ব্যক্তিকেই সাদরে বরণ করে নিল অল কেরল মেনস অ্য়াসোসিয়েশন। AKMA’র সভাপতি ভাত্তিইয়ুরকাভু অজিত কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ওই দুই মহিলাই এই প্লটটি তৈরি করেছিলেন। আসলে একটা হানি ট্র্যাপের খপ্পরে পড়েছিলেন যুবক।

এমনকী তাঁকে নিয়ে একেবারে রীতিমতো উল্লাসে মাতেন পুরুষ সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তাঁদের মতে, বেচারাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে যমশীর নামে এক ব্যক্তি আগেই দাবি করেছিলেন বাসে যে দুজন তরুণী ছিলেন তারা একে অপরের বান্ধবী। তারা ইন্সটাগ্রামে রিলস বানান। সেই রিলসের রিচ যাতে বাড়ে সেকারণে তারা এই পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই মতো ওই যুবককে তাঁরা ফাঁসিয়ে দেন। সেই সংক্রান্ত স্ক্রিনশটও তিনি হাজির করেছিলেন। তবে ওই ব্যক্তির দাবি মানতে চাননি অভিযোগকারী তরুণীরা।

এদিকে কেরল পুরুষ সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কোনওভাবেই ওই যুবককে দোষী বলা যাবে না। ওই মহিলারাই হানি ট্র্যাপে পুরুষদের ফাঁসানোর জন্য বাসে বাসে ঘুরে বেড়াতো। শেষ পর্যন্ত তারা একজনকে ফাঁসিয়ে দেন বলে তাঁদের অভিযোগ। তবে এদিন জেল থেকে বের হওয়ার পরে তাঁরা জানিয়ে দেন , আপনার পাশে আছি। কোনও চিন্তা করবেন না।