Trinamool Congress on Kavach: মমতারই মস্তিষ্কপ্রসূত কবচ? করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

রেল দুর্ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা। রেলের তরফে জানানো হয় যে বালাসোরে যেখানে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা ঘটে, সেখানে ‘কবচ’ বসানো ছিল না। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন করেছে, কেন এই রুটে ‘কবচ’ বসায়নি রেল কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ‘অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস’-এর প্রস্তাব করেছিলেন। সেটিকেই নতুন মোড়কে ‘কবচ’ বলে চালাচ্ছে বর্তমান সরকার। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, দেশের মাত্র ২ শতাংশ রেলপথে এই সিস্টেম বসানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ‘কবচ’-কে প্রকাশ্যে এনেছিল রেল। (আরও পড়ুন: লুপ লাইনে ঢুকে গিয়ে বিপত্তি ঘটায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস, কী এই লাইন?)

জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন উঠে যায় এক মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। এই সময় উলটো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলিকে। তিনটি ট্রেনের এই সংঘর্ষে মৃত্যু মিছিল জারি রয়েছ। (আরও পড়ুন: প্রাণ গিয়েছে করমণ্ডলের ২৯০ যাত্রীর, তবে বেঙ্গালুরু-হাওড়া ট্রেনের কেউ মারা যায়নি)

আরও পড়ুন: শেষ বগি কেটে উদ্ধার করা হল বাকি যাত্রীদের, বালাসোরে শেষ হল উদ্ধার অভিযান

প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছে আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রেলের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমসকে রেলের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, খড়্গপুর ডিভিশনের সিগন্যালিং রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশন অতিক্রম করার পর লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এদিকে সেই লুপ লাইনে আগে থেকেই একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। এই মারাত্মক ভুলের কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। এই লুপ লাইনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসটা না ঢুকলেই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।