Abhishek Banerjee: ‘হাতি যখন বাজারে বের হয়…,’ ফুরফুরা শরিফে অভিষেক, স্বাগত জানালেন পীরজাদা

নবজোয়ারে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ফুরফুরা শরিফেও গিয়েছিলেন তিনি। নবজোয়ারের ৪০তম দিন। এদিকে অভিষেক যাওয়ার আগে থেকেই নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। ফুরফুরায় কতটা গ্রহণ করা হবে অভিষেককে তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছিল। সোমবার জাঙ্গিপাড়ায় প্রয়াত পীর  আবু বক্কর সিদ্দিকির মাজারে যান অভিষেক। একেবারে ত্বহা সিদ্দিকিকে পাশে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অভিষেক। 

অভিষেক বলেন, পীর সাহেব পীর জাদাদের সঙ্গে কথা বলেছি।আমি এর আগেও এসেছি। ৫-৬ বছর আসা হয়নি। এখানে এলে আলাদা শক্তির সঞ্চার হয়। আগামী দিনে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে ফিরে যাচ্ছি। নবজোয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনতা যখন ভালোবাসে তখনই সফল হয়। মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। যারা এই গরমে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন তাদেরকে ধন্য়বাদ।

সংবাদ মাধ্য়ম প্রশ্ন করেছিল, এলাকায় একাধিক পোস্টার পড়েছে, অভিষেক গো ব্যাক। সেই প্রসঙ্গে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি জানিয়েছেন,  হাতি যখন বাজারে ঢুকবে তখন কিছু পশু আছে তারা এসব করে যাবে। এটা ফুরফুরা শরিফ। ভারতের দ্বিতীয় মুসলিম তীর্থভূমি। এখানে আজ শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ে এলেন না।এর আগে অনেক রথি মহারথীরা এসেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তিনবার এসেছেন। এখানে পবিত্র জায়গা। সকলেই আসবেন। আমরা বলি যারা দেশের, দশের সেবা করবেন আল্লা যেন তাঁদের দোয়া করেন। এরা আমাদের অতিথি। আমাদের ওয়েলকাম করতে হবে। অতিথিকে আপ্য়ায়ন করতেই হবে। তবে চালের মধ্য়ে দু একটা কালো থাকবে। সেকারণে গোটা চালকে ফেলে দেওয়া ঠিক হবে না। 

তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসছেন। মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছেন। নবজোয়ারের সঙ্গে মানুষ আছেন। জাঙ্গিপাড়ার মাটিতে পা দিয়ে ফুরফুরা শরিফে এসেছিলেন অভিষেক। সকলে দোয়া করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পরবর্তীকালে মানুষ অভিষেককে গ্রহণ করুক। এটাই চাইছেন সকলেই। আর ৬ মাস আর সরকার থাকবে না। মানুষকে ঘৃণা দেখিয়ে, মানুষকে পথে বসিয়ে সরকার চালানো যায় না। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে এভাবেই তোপ দাগলেন তিনি।