Opposition Meet in Patna postponed: পিছিয়ে গেল বিরোধী জোটের বৈঠক, জানিয়ে দিলেন নীতীশ

দীর্ঘ আলোচনার পর স্থির হয়েছিল, আগামী ১২ জুন পটনায় বিজেপি বিরোধী দলের প্রধানরা বৈঠকে বসবেন। আজ নীতীশ কুমার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে দেন যে আগামী ১২ জুন বৈঠক হবে না। জানা গিয়েছে, ১২ জুন কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, এমকে স্ট্যালিন বৈঠকে যোগ দিতে পারতেন না, সেই কারণেই নাকি বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই আবহে বৈঠকের পরবর্তী দিনক্ষণ পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান নীতীশ কুমার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধীদের বৈঠকে সব দলের প্রধানকে আসতে হবে। অন্য কোনও প্রতিনিধি এলে তা ঠিক হবে না।’ নীতীশ দাবি করেন, অধিকাংশ দলেরই ১২ তারিখের বৈঠক নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। তবে কংগ্রেসের সমস্যা থাকায় বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কংগ্রেসকে বলেছি যে তারা যেন নিজেদের মধ্যে কথা বলে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। কোনও দল যদি তাদের প্রধানকে না পাঠিয়ে অন্য কোনও প্রতিনিধি পাঠান, তাহলে তো সেটা ঠিক না। অন্যান্য দলের তরফেও তখন বলা হতে পারে যে আমরাও অন্য কোনও প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি। কংগ্রেসের মধ্যেই চর্চা শুরু হয় যে দলের সভাপতিকে না পাঠিয়ে অন্য কাউকে পাঠানো হতে পারে। তখন বাকি দল অনুরোধ করল যে এটা ঠিক হবে না। তাই আমি গতকাল তাদের জানিয়ে দিয়েছি যে ১২ তারিখের বৈঠক হবে না। এরপর যখন তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে তো জানিয়ে দেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গতকালই জানা যায়, ১২ তারিখ বৈঠক হলে রাহুল গান্ধী বা মল্লিকার্জুন খাড়গের মধ্যে কেউই যোগ দিতে পারবেন না অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে। এদিকে শুধু কংগ্রেস নয়, ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনও ১২ জুন ব্যস্ত থাকবেন প্রশাসনিক কাজে। এই কারণেই পিছিয়ে গেল বৈঠক। উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন নীতীশ কুমার এবং লালু পুত্র তেজস্বী যাদব। সেই সময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতীশকে বিরোধী দলের বৈঠক পটনায় করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই মতো এই বিরোধীদের বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল পটনায়। গত মাসে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গে বৈঠকের পরই বৈঠকের দিন স্থির করা হয়েছিল। তবে সোনিয়া চিকিৎসার জন্য আমেরিকায়। এই আবহে মার্কিন সফরের কর্মসূচি শেষ করে মায়ের সঙ্গে থাকবেন রাহুল। দেশে ফিরবেন ১৫ মে। স্ট্যালিন আবাহ ১২ জুন রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধের উদ্বোধন করবেন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস ও ডিএমকে-র সমস্যার কারণে পিছিয়ে গেল বৈঠক। এই আবহে ২০ জুনের পরে এই বৈঠক হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।