Passenger Train through Balasore: দরজা দিয়ে উঁকি মারছেন যাত্রীরা, রক্তস্নাত বাহানগায় ফের ছুটল প্যাসেঞ্জার ট্রেন

করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর রক্তবন্যা বয়ে গিয়েছিল বাহানগা বাজার স্টেশনের একটু দূরেই। সেই সব স্মৃতি দূরে সরিয়ে রেখে গতকাল রাতে ফের সেই অভিশপ্ত ট্র্যাকে ছুটতে শুরু করে ট্রেন। তবে দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর গতকাল সেই ট্র্যাক দিয়ে ছোটা প্রথম ট্রেনটি ছিল একটি মালগাড়ি। আর আজ সকালে ফের একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন গেল বাহানগা স্টেশন দিয়ে। সেই স্থান দিয়ে ট্রেন যাওয়ার একটি ভিডিয়ো টুইট করেছে সংবাদসংস্থা এএনআই। তাতে দেখা গিয়েছে, খুব ধীর গতিতেই এগিয়ে চলেছে প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার সময় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের গতি ছিল ১২৮ কিলোমিটার এদিকে উলটো দিক দিয়ে আসা হামসফরের গতি ছিল ঘণ্টায় ১২৬ কিলোমিটার।

এদিকে এএনআই-এর ভিডিয়োতে দেখা যায়, আগ্রহী যাত্রীরা জানলা এবং দরজা দিয়ে উঁকি মেরে ট্র্যাকের দিকে দেখছেন। কিছুটা আতঙ্ক, কিছুটা বিষ্ময়, কিছুটা বেদনা মেশানো সেই দৃষ্টি। রেললাইনের পাশেই তখন বসে রেলকর্মীরা। তাদেরই অক্লান্ত পরিশ্রমে এত দ্রুত এই রুটে রেল চলাচল ফের স্বাভাবিক হওয়ার পথে। এদিকে ট্রেনটি সেই স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে পুলিশকর্মীরাও ছিলেন। এর আগেত গতকাল ভারতীয় রেলের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তা এবং রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রথম এই ট্র্যাক দিয়ে কোনও ট্রেন যায়। জানা যায়, গতরাতে ডাউন লাইন দিয়ে একটি মালগাড়ি বেরিয়ে যায়। গতরাতে ডাউন লাইনে ট্রায়াল রানে সাফল্য পাওয়ার পর রেলের কর্তা এবং শ্রমিকদের উদ্দেশে কিছু কথা বলেন রেলমন্ত্রী।

এদিকে এই রুটে ট্রেন চালু হওয়ার পর রেলমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই খুব ভালো কাজ করেছেন। পুরো টিম খুব ভালো কাজ করেছে। যা হয়েছে, সেজন্য আমরা দুঃখিত। যাঁরা পরিজনদের হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য শোকাহত আমরা। কিন্তু আমাদের দুর্ঘটনার মূল কারণে পৌঁছাতে হবে। দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে। আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন। যে দ্রুততার সঙ্গে আপনারা কাজ করেছেন, সেজন্য পুরো টিমকে ধন্যবাদ।’ এদিকে রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে সব পরিবার এখনও তাদের প্রিয়জনদের খোঁজ পাননি, তারা যাতে তাড়াতাড়ি তাদের খুঁজে পেতে পারেন তা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের লক্ষ্য। আমাদের দায়িত্ব এখনও শেষ হয়নি।’