Coromandel Express Accident: করমণ্ডল বিভীষিকা, ‘বাংলার ৩১জনের খোঁজ নেই,’ ওড়িশায় জানালেন মমতা

একেবারে যেন মৃত্যু মিছিল। করমণ্ডল দুর্ঘটনা কেড়েছে বহু প্রাণ। মঙ্গলবার ফের ওড়িশা গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে গিয়ে তিনি দেহ রাজ্য়ে ফিরিয়ে আনা, বাংলার বাসিন্দাদের চিকিৎসার নানা দিক নিয়ে তদারকি করেন। পাহাড় সফর বাতিল করে তিনি ওড়িশা গিয়েছেন।

এদিন তিনি বলেন, বাংলার ১০৩জনের দেহ শনাক্ত করা গেছে। বাকি ৩১জনের খোঁজ নেই। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন বাংলার ৯৭জন এখনও ওড়িশায় চিকিৎসাধীন। বাংলার ৪০জন আধিকারিক এখানে রয়েছেন। ৪০০র বেশি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে। ডাক্তার নার্সরাও রয়েছেন।

তবে এখনও অনেকে প্রিয়জনকে খুঁজে চলেছেন। হিন্দুস্তান টাইমসেও তাঁদের সেই অসহায়তার কথা তুলে ধরা হয়েছিল।

এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সত্যটাকে যাতে ধামাচাপা না দিয়ে প্রকাশ্যে আনা হয় সেটা দেখা দরকার।তাঁর মতে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

এদিকে করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনা রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ফের প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে। চারদিকে স্বজন হারানোর কান্না। বাংলার বহু বাড়িতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও চলছে পুরোদমে। তবে এসবের মধ্য়ে সামনে আসছে রেল দুর্ঘটনাকে ঘিরে নানা চর্চা। অনেকে আবার এত বড় দুর্ঘটনার পরেও বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন। এদিকে ওড়িশা প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে মৃতের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে।

ওড়িশার মুখ্যসচিব পিকে জেনা জানিয়েছেন, ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়াল ২৮৮। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৩টি দেহ ভুবনেশ্বরে পাঠানো হয়েছে। ৯৪টি দেহ বালাশোরের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। ১টি দেহ ভদ্রকে পাঠানো হয়েছে।

ওড়িশার মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ২০৫টি দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। সেগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ৮৩টি দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে।

এদিকে পিটিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় অন্তত ৪০জনের মৃত্যু সম্ভবত বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হওয়ার জেরে হয়েছিল। জিআরপির রিপোর্টকে তুলে ধরে এমনটাই জানিয়েছে পিটিআই।

এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই বার বার ওড়িশা সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করেছেন। এনিয়ে নানা চর্চা চলছে। তবে অনেকের মতে, এখনও বাংলার যে বাসিন্দা ওড়িশার হাসপাতাল থেকে মর্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রিয়জনের সন্ধানে তাঁর কাছে অর্থহীন এই রাজনৈতিক তরজা। তাঁকে একমাত্র স্বস্তি দিতে পারে রেল দুর্ঘটনায় হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনের হাসিমুখ।