করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সঙ্গে মাছের দামবৃদ্ধির সম্পর্ক কী?‌ এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

তীব্র গরম পড়েছে রাজ্যজুড়ে। এই গরমে মাছের প্রজনন সিজন। কিন্তু করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে মাছের দামে প্রভাব পড়েছে। এই দুটি চাপ একসঙ্গে চলে আসায় শহর কলকাতার মাছ বাজারের পারদ চড়েছে। অর্থাৎ দাম বেড়েছে। তাই এখন আমজনতা বড় ছ্যাঁকা খাচ্ছে। আর মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়েছে। গরমের কারণে ক্ষতির মুখে মাছের চাষ। তার প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে। কলকাতার বাজারে মাছের জোগান কমে গিয়েছে। তবে বঙ্গ রসনায় মাছের জোগান অনেকাংশে নির্ভর করে দক্ষিণী উৎসের উপর। আর সেখানেও ঘটেছে বিপর্যয়।

এদিকে করমণ্ডল বিপর্যয়ের জেরে দক্ষিণ ভারত থেকে আসা মাছের জোগান ধাক্কা খেয়েছে। আর তার জেরে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা বড় মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে আকাশছোঁয়া। তাই রেল পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কলকাতা–সহ বাংলার মাছের বাজারের দামের ঊর্ধ্বগতি নামবে না বলে মনে করা হচ্ছে। করমন্ডল বিপর্যয়ের পর শনিবার থেকে বুধবার— এই ৫ দিনেই কলকাতায় অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা চালানি মাছের দাম গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে। বিশেষ করে রুই–কাতলার কাটাপোনা মাছের গায়ে হাত দেওয়া যাচ্ছে না।

অন্যদিকে এই ট্রেন দুর্ঘটনার আগে অর্থাৎ গত শুক্রবার পর্যন্ত মানিকতলা মাছ বাজারে কাটাপোনা বিক্রি হচ্ছিল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। বুধবার সকাল হতেই সেই মাছের দাম একলাফে ৪৫০ টাকা হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, সবে লাইন পাতা হয়েছে। একে একে ট্রেন যাতায়াত শুরু করেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। অবস্থা স্বাভাবিক হলে ব্যবস্থাও জোরদার হবে। তবে এখনও সাতদিন সময় লাগবে। পাকা মাছের সঙ্গে ট্রেনে চালান হয়ে আসে পারশে, পাবদা, ট্যাংরার মতো মাছও। ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে পাইকারি এবং খুচরো দুই বাজারেই মাছের দামে ব্যাপক চড়ে গিয়েছে।

তাছাড়া ক্রেতারা বাজারে এসে দাম দেখে মাথায় হাত দিচ্ছেন। অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দাম কমার জন্য অপেক্ষা করবেন। আর দাম না কমা পর্যন্ত খাবেন না অন্ধ্রপ্রদেশের চালানি মাছ। অন্যান্য বছরের মতো দহনজ্বালায় স্বাদহীনতা তো এসেছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চালানি মাছের ক্ষেত্রে যোগাযোগের সমস্যা। এই বিষয়ে ফিশ মার্চেন্ট ফেডারেশনের সভাপতি দেবাশিস জানা বলেন, ‘‌অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ দুই ধরনের মাছ আমদানি করে। এক, হারভেস্টিং মাছগুলি হল— ভেটকি, রূপচাঁদ, পাঙাস। আর দুই, আড়, বোয়াল, পাবদা, কাতলা, রুই, চিতল।