নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির তলবে সাড়া দিচ্ছেন না। জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অভিষেক জানান, আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে ইডির মুখোমুখি হবেন না। ৮ জুলাইয়ের পরে যে কোনওদিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তলব করলে কেন্দ্রীয় সংস্থার মুখোমুখি হবেন। ৯ জুলাই তলব করলেও তিনি যাবেন বলে দাবি করেছেন অভিষেক। তাঁর দাবি, নবজোয়ার কর্মসূচি আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষের জনসমর্থনের ছবি দেখে রাজনৈতিকভাবে বিজেপি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই নিজেদের ‘ডবল ইঞ্জিন’ সিবিআই এবং ইডিকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে ব্যতিব্যস্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অভিষেক।
বৃহস্পতিবার কয়লা মামলায় অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে রুজিরা বেরিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৩ জুন অভিষেককে তলব করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও নবজোয়ার কর্মসূচির মধ্যেই অভিষেক স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ১৩ জুন ইডির সামনে হাজিরা দেবেন না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁকে ব্যতিব্যস্ত করতে, নবজোয়ার কর্মসূচি রুখতে ইচ্ছাকৃতভাবে সমন করা হচ্ছে বলে দাবি করেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, সিবিআইয়ের পর এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব
রাতের দিকে নদিয়ার পলাশিপাড়ায় অভিষেক বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে এটার মধ্যে (অভিসন্ধি) আছে। এটা কাকতলীয় তো নয়। এই যে ১৮ তারিখ চিঠি দিয়ে আমায় ১৯ তারিখ ডেকে পাঠিয়েছিল (নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ), আমায় ২৪ ঘণ্টাও দেয়নি। আমি বাঁকুড়ায় ছিলাম। তারপর এই যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আমার স্ত্রী’কে আটকে দেওয়া হল। আমরা তো আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করব। কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশিকা আছে। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টেরও নির্দেশ মানে না ওরা। ভারতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ রায় দিয়ে বলেছিল যে বিদেশযাত্রা থেকে আটকানো যাবে না। তারপরও এরা আটকেছিল।’
আরও পড়ুন: Mamata on Rujira’s griling by ED: অবশেষে ED-র অফিস থেকে বেরোলেন রুজিরা, হাতজোড় করে মমতা বললেন ‘ভালো ও শান্ত মেয়ে’
তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, ‘আজ আমার স্ত্রী’কে ৪ টে ৩০ মিনিটে ছাড়া হয়েছে। আমায় ৪ টে ৪৫ মিনিটে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ওরা হয়ত ভেবেছে যে স্ত্রী’কে নোটিশ দিয়ে পারলাম না। এবার অভিষেককে নোটিশ পাঠাই। আমি তো বলছি, আমার গলা কেটে দিলেও তোমরা পারবে না। আমি তো বারবার বলেছি যে কিছু থাকলে আমায় গ্রেফতার করুন। কে বারণ করেছে? কেউ বারণ করেছে? আর বারবার ডেকে ১০ ঘণ্টা, ১২ ঘণ্টা করে সময় নষ্ট করা হচ্ছে, সময় অপচয় করা হচ্ছে। আমি কোনও তদন্তকারী সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিককে দোষারোপ করছি না।’ অভিষেক আরও দাবি করেন, তিনি বিজেপির ক্রীতদাস নন। তিনি যে সৌজন্যতা দেখাচ্ছেন, সেটাকে যেন তাঁর দুর্বলতা মনে করা না হয়।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)