Army colonel: বিবাহিতা মহিলা ক্লার্কের সঙ্গে প্রেম, স্পার্ম দান করে কড়া শাস্তির মুখে সেনা কর্নেল

ইন্ডিয়ান মিলিটারি আকাদেমি দেরাদুনে পোস্টিং ছিলেন এক লেফটেনান্ট কর্নেল। এক মহিলা ক্লার্কের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে কোর্ট মার্শাল হল তাঁর। ৭ জুন আর্মির কোর্ট মার্শালের সামনে হাজির হন তিনি। অভিযোগ এক সিভিলিয়ান মহিলা ক্লার্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তিনি ওই আকাদেমিতেই কর্মরতা। ওই কর্নেল ওই মহিলাকে স্পার্ম দান করেছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

রুরকিতে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ অ্যান্ড সেন্টারে তাঁর জেনারেল কোর্ট মার্শাল হয়। ওখানে তাঁকে তীব্র তিরস্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই চাকরিজীবনে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর তিনবছরের সিনিয়রিটিতে ছেদ পড়ছে, চাকরিজীবনে তিনবছরের অতিরিক্ত বেতন বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে, পাশাপাশি তিনবছরের জন্য লেফটেনান্ট কর্নেলের পদমর্যাদা তাঁর হ্রাস করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে একেবারে কড়া শাস্তির মুখে সেনা বাহিনীর লেফটেনান্ট কর্নেল।

এলাহাবাদ হাইকোর্টের দুই আইনজীবী শৈলেন্দ্র কুমার সিং ও কেশব শর্মা কর্নেলের পক্ষে সওয়াল করেন। আইনি প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল তথা প্রাক্তন বিচারপতি বীরেন্দ্র সিং।

সূত্রের খবর, আইএমএতে কর্মরত ওই ক্লার্কের সঙ্গে সেনা আধিকারিকের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তবে ওই কর্নেল নিজেও বিবাহিত ও দুই সন্তানের বাবা। আর ওই মহিলার একটা সময় কর্পস অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের এক হাবিলদারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল।

তদন্তে দেখা যায় মহিলার বন্ধাত্য দূর করতে নানা সময় তাঁকে নিয়ে ক্লিনিকে যেতেন ওই সেনা আধিকারিক। এমনকী তিনি শুক্রানুও দান করেন। এদিকে পরবর্তী সময় ওই সেনা আধিকারিক দেরাদুনে বদলি হয়ে যান। তখন তিনি মহিলার সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আর তখনই ওই মহিলা সেনা আধিকারিকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেনার কাছেও তিনি অভিযোগ দায়ের করেন।

কর্নেল প্রাথমিকভাবে আর্মি অ্য়াক্ট অনুসারে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেন। কিন্তু আর্মির হাবিলদারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে এমন মহিলার সঙ্গে কর্নেল অবৈধ সম্পর্ক রাখতেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গেই মহিলাকে বন্ধ্যাত্ম মুক্ত করতে স্পার্ম দান করা ও মহিলাকে নিজের স্ত্রী হিসাবে দেখিয়ে ডিপেন্ড্যান্ট কার্ড বের করে ফেলা। মূলত এই তিনটি চার্জেই দোষী সাব্যস্ত হন সেনা আধিকারিক।

এদিকে ওই মহিলার সঙ্গে ফোন ও হোয়াটস অ্য়াপ চ্যাটও সামনে আনা হয়। সেখান থেকে অনেকটাই বোঝা যায় মহিলার সঙ্গে ওই কর্নেলের একেবারে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।এরপরই সমস্ত চার্জ তাঁর বিরুদ্ধে আরোপ করা হয়।