Wrestlers’ Sexual Harassment Case: বয়ান দিয়েও ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রত্যাহার নাবালিকা কুস্তিগিরের

কুস্তিগিরদের আন্দোলনে নয়া মোড় আসতে চলেছে। কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করা দুই নাবালিকা কুস্তিগির নিজেদের অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মোট ৭ জন মহিলা কুস্তিগির যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন নাবালিকা ছিলেন। সেই নাবালিকা পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটেরে কাছে পৃথক ভাবে বয়ান রেকর্ড করিয়েছিলেন। যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই নাবালিকা কুস্তিগির নিজের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, ১৭ বছর বয়সি সেই কুস্তিগির সিআরপিসি-র ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নতুন করে বয়ান রেকর্ড করিয়েছেন। এই বয়ান আদালতে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই বয়ানের ওপর ভিত্তি করে আদালত সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে এই মামলা এগোবে নাকি সেটাকে খারিজ করা হবে। এই আবহে নয়া বয়ানে সেই ১৭ বছর বয়সি কুস্তিগির ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে দিল্লি পুলিশের কাছে সেই নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবা বয়ান দিয়ে বলেছিলেন, ‘ব্রিজভূষণের যৌন হেনস্থার জেরে আমার মেয়ে মানসিক অশান্তিতে ভুগছে’। অভিযোগ ওঠে, ছবি তোলার বাহানায় সেই নাবালিকাকে জাপ্টে ধরেছিলেন ব্রিজভূষণ। ইচ্ছে করে ব্রিজভূষণ নিজের হাত সেই নাবালিকার স্তনে রেখেছিলেন বলেও অভিযোগ। পুলিশ বলেছে, নাবালিকা নাকি জানিয়েছে যে তাঁর বয়ানে ভুল বোঝা হয়েছিল। তিনি যা বলতে চেয়েছিলেন তা ফুটে ওঠেনি তাতে। তবে নাবালিকার বাবা নিজের অভিযোগ এখনও প্রত্যাহার করেননি বলেই জানা গিয়েছে।

বিগত ১০ মে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রথম সেই নাবালিকা নিজের বয়ান রেকর্ড করিয়েছিলেন। পরে পকসো আইনের ১০ নং ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (শ্লীলতাহানী), ৩৫৪এ (যৌন হেনস্থা), ৩৫৪ডি (পিছু নেওয়া) ধারায় মামলা রুজু হয় ব্রিজভূষণের নামে। এদিকে পকসো আইনের ১০ নম্বর ধারায় ব্রিজভূষণ দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড দিতে পারত আদালত। এদিকে অভিযোগ প্রত্যাহারের প্রেক্ষিতে আইনজীবীদের মত, ‘এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই ধরনের হাই প্রোফাইল মামলায় যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয়, তাহলে অভিযোগকারীর ওপর চাপ সৃষ্টি হবেই।’