North Korea: আত্মহত্যার চেষ্টা করলেই কি মৃত্যুদণ্ড? উত্তর কোরিয়ার বিচিত্র আইন নিয়ে ধোঁয়াশা

মাঝে মাঝেই বিচিত্র ‘একুশে আইন’এর কারণে খবরের শিরোনামে আসে কিম জং উনের দেশ। এবারেও তেমনই একটি ঘটনায় সারা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে উঠে এল উত্তর কোরিয়ার নাম। সম্প্রতি কিছু বছরে উত্তর কোরিয়ায় বেড়ে গিয়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা। সেই প্রবণতা ঠেকাতেই এবার নয়া আইন আনল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। সেই দেশে আর আত্মহত্যা করা যাবে না। নিজেকে শেষ করার প্রবণতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কিম জং উন। সম্প্রতি একটি বৈঠকে সেই নিয়েই উচ্চপদস্থ কর্তাদের নির্দেশ দিলেন কিম। সংবাদমাধ্যম রয়টার্স সূত্রে খবর, আত্মহত্যা নিষিদ্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত এই নির্দেশ সরকারি আমলাদের মধ্যেই ‘গোপনীয়’ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

আরও পড়ুন: এবার আমেরিকা সব দেখতে পাবে! রাশিয়া-চিন থেকে শুরু করে সব দেশের উপর উঁকির ব্যবস্থা

আরও পড়ুন: বায়ুদূষণের দৌড়ে দিল্লিকে টেক্কা দিল নিউ ইয়র্ক, কানাডার দাবানল কতটা ক্ষতি করল

আত্মহত্যা নিষিদ্ধ করার পিছনে একটি নয়া যুক্তিও দিয়েছে কিম জং উনের সরকার। তাঁর কথায়,  আত্মহত্যা করার প্রবণতা আদতে সামাজিকতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা। নাগরিকদের সেই প্রবণতা থেকেই মুক্ত করতে চাইছে সরকার। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ সঙ্গীন। তার মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর দলের হাতে এসেছে নয়া তথ্য। জানা গিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় গত বছরের তুলনায় এই বছর আত্মহত্যার ঘটনা ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যম মিররে প্রকাশিত হয় এই প্রতিবেদন। দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর দলের এক মুখপাত্র বলেন, উত্তর কোরিয়ার নানা অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণেই এই পরিস্থিতি হয়েছে। রেডিয়ো ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী,  একটি জরুরি বৈঠকেই আত্মহত্যা সংক্রান্ত এই বিশেষ নির্দেশ পাশ করানো হয়।

ইতিমধ্যে অন্য এক বৈঠকে জানানো হয়, চঙজিং ও কিয়ঙসঙ শহরে ৩৫টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও, অভুক্ত থাকার ফলে মৃত্যুর ঘটনাও বেড়েছে সারা দেশে। তবে দ্য সানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রায়ানগঙ প্রদেশের বৈঠকে আত্মহত্যাকে অভুক্ত থাকার ফলে মৃত্যুর থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সমাজের উপর আত্মহত্যার ক্ষতিকর প্রভাব অনেকটাই বেশি বলে জানান ওই বৈঠকের কর্তারা। তবে এর পাশাপাশি আরেকটি তথ্যও উঠে আসে। ওই বৈঠকের এক মুখপাত্র বলেন, জেনারেল সেক্রেটারির তরফে আত্মহত্যার ঘটনা কমানোর জন্য নানারকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে কার্যত, সেই ব্যবস্থার কোনওটাই এখনও ফল দেয়নি।

কিন্তু আত্মহত্যা ঠেকাতে যে আইন আনা হচ্ছে, তার ফল কেউ এ ধরনের চেষ্টা করলে, তার শাস্তি কী হবে? সেই বিষয় নিয়ে এখনও অস্পষ্ট ধারণা রয়েছে। কেউ কেউ মজা করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ায় হয়তো আত্মহত্যার চেষ্টার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। 

আত্মহত্যা প্রতিরোধকারী হেল্পলাইন নম্বর

সুইসাইড প্রিভেনশন ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন: ৮০৪৭০৯৬৩৬৭

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup