Panchayat vote: মনোনয়ন পর্বের প্রথম থেকেই রক্ত ঝরছে বাংলায়, বিশেষ বার্তা দিলেন অভিষেক

মনোনয়ন পত্র তোলার দিন থেকেই রক্ত ঝরছে বাংলায়। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্য়ু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারের দিনহাটায় আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল কর্মী।  মুর্শিদাবাদের ডোমকলে দেখা গিয়েছে, কোমরে পিস্তল নিয়ে বিডিও অফিস পাহারা দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা। সেই নেতাকে অবশ্য় পুলিশ আটক করেছে। কোমর থেকে পিস্তলটাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে এখনও নবজোয়ার যাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন,  কেউ মনোনয়ন জমা দিতে না পারলে আমায় জানান। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না পারলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাব কেন? নির্বাচন কমিশন কী করতে রয়েছে! 

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে জানাব কেন? 

কল্যাণীর ক্যাম্প থেকে উত্তর ২৪ পরগনার দিকে রওনা দেন। তবে তার আগে অভিষেক সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, প্রশাসনকেও বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষের গ্রহণ করতে। 

শনিবারই বিরোধীরা রাজ্যপালের কাছে দরবার করেছিলেন। তারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ তুলেছেন তারা। 

তবে এসবের মধ্য়ে অভিষেকের বার্তা, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দলের কেউ কোনও রকম প্ররোচনায় পা দেবেন না। কেউ কোনও ঝামেলায় জড়াবেন না। মনোনয়ন ঘিরে অশান্তিতে জড়াবেন না।  

এদিকে বিরোধীদের দাবি, গোটা বাংলায় পুলিশের নামে সিভিক নির্ভরতা চলছে। এভাবে পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে না। কিন্তু এত কিছুর পরেও পঞ্চায়েত ভোটে আর কত রক্ত ঝড়বে তা নিয়ে আশঙ্কা ক্রমশই বাড়ছে। 

জেলায় জেলায় এদিন অশান্তির নানা বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বিরোধীরা আদৌ কতটা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন এবারও কি সেই ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের পুনরাবৃত্তি হবে? কারণ ২০১৮ সালে ভয়াবহ অশান্তি দেখেছিল বাংলা। শাসকদলও পরবর্তী সময় স্বীকার করে নিয়েছে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা হয়েছিল ২০১৮ সালে। তবে তারই যেন মহড়া শুরু হয়ে গেল মনোনয়নে প্রথম দিন থেকে। 

এক এক ইঞ্চিতে লড়াই হবে। বিজেপি সমস্ত আসনে প্রার্থী দেবে। একেবারে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দাবি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের।