অভিষেকের আসা নিয়ে তরজা ঠাকুরবাড়িতে, পড়ল পোস্টার, চলে গেল গোবরজলে শোধনের বার্তা

নবজোয়ার যাত্রায় আজ রবিবার ঠাকুরবাড়ি যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সে কারণে ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দিরে হাজির পুলিশ। ভিড় দেখেই মেজাজ হারালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সংসাদ শান্তনু ঠাকুর। ‘বাড়িতে পুলিশ কেন?’ প্রশ্ন তোলেন তিনি। সরিয়ে দেন কর্মীদের। সাংবাদিকদের জানান, অভিষেক চলে গেলে গোবরজল দিয়ে ধোয়া হবে ঠাকুর বাড়ি।

তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন বলে নিরপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে ঠাকুরবাড়ি যায় পুলিশ আধিকারিকরা। বাড়িতে পুলিশ দেখেই ছুটে আসেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি পুলিশ কর্মীদের সরিয়ে দেন। পরে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,’ কে অভিষেক ও বাংলার মন্ত্রী না কেন্দ্রের? এত সাজগোছ হচ্ছ, মন্ত্রী এলেও হয় না। প্রধানমন্ত্রী যখন এসেছিলেন তখনও হয়নি। ও কে? সাধারণ সংসাদ।’ এর পর তিনি বলেন,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে সাংসদ হিসাবে অভিষেক কে? সূর্যের আলোয় চাঁদ যেমন আলোকিত হয়, ও তাই। ও যেমন সাংসদ আমি সাংসদ। ভোটের আগে ঠাকুর বাড়িতে কী আছে?’

এদিকে ঠাকুরনগরের একাধিক জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধিক্কার জানিয়ে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের পক্ষ থেকে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, হরিচাঁদ ঠাকুর সসম্পর্কে অসম্মাজনক মন্তব্য করেছেন। তার প্রতিবাদ জানিয়ে এই পোস্টার। অভিষেক আসার আগেই কেন এই পোস্টার সে প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘ওর পিসি অকথ্য ভাষায় ঠাকুরকে গালাগালি করবে, আর আমরা ছেড়ে দেবো নাকি।’

তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা ঠাকুর বাড়ি সদস্য মমতাবালা ঠাকুর এর প্রতিক্রিয়ায় বলেন,’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজকে ঠাকুর বাড়ি আসছেন। আমরা তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য ঠাকুর বাড়ি সাজিয়েছি। যখন প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ এসেছিলেন তখন আমরা সম্মান জানিয়েছি। এখন যে রাজনীতি হচ্ছে পুরোটাই বিজেপির।’ পোস্টার প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘যে পোস্টার লাগানো হয়েছে তা শান্তনু ঠাকুরের বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। ওর পিএ তন্ময় পোস্টারগুলি লাগাচ্ছিল।’ তাঁর দাবি, নবজোয়ারের সভায় যা ভিড় হবে তা দেখে মাথা ঘুরে যাবে বিজেপির।