Iran: বাবার বিরুদ্ধে গাড়ি চুরির অভিযোগ! ৯ বছরের সন্তানকে গুলি করে খুন পুলিশের, চাঞ্চল্য ইরানে

বাবার বিরুদ্ধে ছিল গাড়ি চুরির অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ সামনে রেখে অভিযুক্তের ৯ বছরের পুত্র সন্তানকে গুলি করে হত্যা করল ইরানের পুলিশ। দক্ষিণ পশ্চিম ইরানের খুজেস্তান প্রভিন্সে এই ঘটনার জেরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইরানের শুস্তার কাউন্টি পুলিশ জানিয়েছে, ওই গাড়িতে অভিযুক্ত চোরের সঙ্গে ছিল তাঁর ৯ বছরের জেরে। পুলিশ বহুবার সেই গাড়ি রুখতে চেয়েছে। তবে তা না থামায়, গুলি করতে বাধ্য হয় পুলিশ।

বাবার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ। চুরির সময়ে গাড়িতে বসেছিল ৯ বছরের বালক মোর্তাজা জারেগানি। পিছনে ধাওয়া করেছে পুলিশ। পুলিশের তরফে অনবরত ধেয়ে আসছে গুলি। এই গোটা ঘটনা পরম্পরায় নিরীহ মোর্তাজা গাড়িতে বসে থাকাকালীনও বুঝতে পারেনি তার সঙ্গে খানিক বাদেই কী ঘটতে চলেছে। এদিকে, ইরানের রাস্তা দিয়ে তখন ছুটছে চুরি যাওয়া গাড়ি। উল্লেখ্য, গাড়ি চোরকে রুখতে ইরানের পুলিশের এক গুলিতেই সেদিন ছোট্ট মোর্তাজা রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়ে। শেষ হয়ে যায় ৯ বছরের ছেলেটির প্রাণ। ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মাদক পাচার ও গাড়ি চুরির অভিযোগ রয়েছে। ইরানের নিউজ চ্যানেল জামারান বলছে, ছেলের মৃত্যুর পর মোর্তাজার বাবা দাবি করেছে, ছেলেকে হত্যার আগেও ইরানের পুলিশ কোনও ‘অ্যালার্ট’ দেয়নি। আচমকাই গুলি এসে বেঁধে ৯ বছরের বালকের শরীরে।

(দিল্লি-চেন্নাই ইন্ডিগো বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি! মাঝ আকাশ থেকে ফিরল ফ্লাইট)

মোর্তাজার ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। নেটিজেনরা ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছেন। এদিকে, ভিতরে ভিতরে ফুঁসছে ইরানের প্রতিবাদী মহল। কয়েকদিন আগেও যে ইরান হিজাব বিতর্কে সুর চড়া করে প্রশাসনকে রক্ত চক্ষু দেখিয়েছে। এর আগে, নভেম্বরের কিয়ান নামের এক ছোট্ট ছেলেকেও হত্যার অভিযোগ ওঠে ইরানের নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে। হিজাব বিতর্কের সময় প্রতিবাদীরা যে রাস্তায় ছিলেন, সেখান দিয়ে হাঁটছিল ছোট্ট কিয়ান। তখনই তাকে গুলি করে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী বলে অভিযোগ। এরপর ঘটেছে এই ভয়াবহ ঘটনা।