ISIS Module busted in Porbandar: গান্ধীর পোরবন্দরে ISIS মডিউল, ধৃত মহিলা সহ ৪ সন্দেহভাজন

গুজরাটের পোরবন্দরে সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএস-এর মডিউলের পর্দা ফাঁস করল গুজরাট এটিএস। গুজরাট পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস) শনিবার গুজরাটের উপকূলীয় শহর পোরবন্দর থেকে একজন বিদেশি নাগরিকসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাস দমন শাখার আধিকারিকরা। ধৃতদের কাছ থেকে নিষিদ্ধ সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে ধৃত চার সন্দেহভাজন দেশ ছেড়ে পালানোর ছক কষছিল। এদিকে এই মডিউলের সঙ্গে যুক্ত আরও একজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে গুজরাট এটিএস। বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সবারই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরে অনলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বহু কট্টরপন্থী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিকে নিজেদের দলে টানতে সক্ষম হয়েছে আইএসআইএস, আল-কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই সব জঙ্গি সংগঠনের মডিউল গড়ে উঠেছে। এদিকে জঙ্গি সংগঠনগুলির জন্য গুজরাট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। এখান দিয়েই দেশে প্রচুর পরিমাণ মাদক পাচার করার চেষ্টা করে থাকে তারা। সমুদ্রপথে মাছ ধরার নৌকায় করে বিপুল পরিমাণ মাদক ভারতে আনার চেষ্টা করা হয়। আফগানিস্তান, ইরান বা পাকিস্তান থেকে এই সব মাদক ভারতে আনা হয়। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মডিউল এতে সক্রিয় ভাবে জড়িত থাকে। গুজরাটের বিভিন্ন উপকূলীয় শহর এবং গ্রামে তাই নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাস দমন আধিকারিকদের বিশেষ নজর থাকে।

এদিকে জানা গিয়েছে, আইএসআইএস-এর এই মডিউলের পর্দা ফাঁস করতে বিশেষ অভিযানের পরিকল্পনা করেছিল গুজরাট এটিএস। এর জন্য গত কয়েকদিন ধরে পোরবন্দর ও আশেপাশের এলাকায় সক্রিয় ছিল এটিএস-এর একটি বিশেষ দল। শনিবারের অপারেশন চলাকালীন সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে যুক্ত একজন বিদেশি নাগরিক সহ চারজনকে আটক করে এটিএস। পরে তাদের জেরা করা হয় এবং গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, ধৃতদের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। সূত্র জানায় যে এটিএস অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ডিআইজি দীপেন ভদ্রন। শুক্রবার থেকেই অন্যান্য অফিসারদের সঙ্গে পোরবন্দরে ছিলেন তিনি। গুজরাট এটিএস-এর ডিআইজি দীপেন ভদ্রন সহ অফিসারদের একটি বড় কনভয় পোরবন্দরে হানা দেয় গতকাল। সূত্রের খবর, ডিআইজি দীপন ভদ্রন ছাড়াও এসপি সুনীল যোশী, ডিওয়াইএসপি কেকে প্যাটেল, ডিওয়াইএসপি শঙ্কর চৌধুরী এবং অন্যান্য অফিসাররা এই অভিযানের অংশ ছিলেন। এগিকে এটিএস সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ধৃত বিদেশি নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা সকল স্থানীয়দের বিষয়েও তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আজ এটিএস বা গুজরাট পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা পুরো অভিযান সম্পর্কে বিশদ জানিয়ে বিবৃতি পেশ করতে পারেন।’