Medicine price regulation: ওষুধের দাম নিয়ে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের, ডায়াবিটিস-সহ আর কী কী ওষুধ এই তালিকায়

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকাতে খাবারের পাশাপাশি রয়েছে ওষুধ।  অথচ এই জিনিসটারই দাম আকাশছোঁয়া হচ্ছে দিন দিন। রোজকার জরুরি ওষুধের যা দাম, তাতে রোগীরাও বিপাকে পড়েন। চিকিৎসকরাও ওষুধের পরামর্শ লেখার সময় ধন্দে পড়ে যান। অথচ এটি এমনই এক জিনিস যা না খেলেও বাড়বে বিপদের আশঙ্কা। দামের দিকে তাকালে দেখা যাবে, ডায়াবিটিস থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ তুঙ্গে রয়েছে। এই দুটি রোগের হারও বেশি ভারতে। এবারে এমন কয়েকটি রোগের ওষুধের দামই বেঁধে দিল ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ)। সব মিলিয়ে মোট ১৮টি ওষুধের ফর্মুলা ও ২৩টি ওষুধের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিল সংস্থা।

আরও পড়ুন: মুখে দুর্গন্ধ থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, কালপ্রিট এক বিশেষ খাবার, বেশি খাচ্ছেন না তো

আরও পড়ুন: দূষণের জেরে কানাডার দাবানল সাগর পেরিয়ে ইউরোপে, বড় বিপদের আঁচ বিশ্ব জুড়ে

২৩টি ওষুধের তালিকায় টিবি ও ডায়াবিটিসের ওষুধও রয়েছে বলে জানিয়েছে এনপিপিএ। শুক্রবার সংস্থার তরফে সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকাতেই ডায়াবিটিসের ওষুধের কথাও জানানো হয়। এই দিন সংস্থার তরফে দাম কমানো হয়েছে হাইড্রোক্লোরাইড ট্যাবলেট, ডাইক্লোফেনাক ডাইইথাইল্যামিন, মিথাইল স্যালিসাইলেট, ফর্মেটেরল ফিউমারেট, বুডেসোনাইড রেসপিরেটরি সাসপেনশনের। এর পাশাপাশি থায়োপেন্টোন ও ওয়ারফেরিন ফর্মুলার সর্বোচ্চ দামও বেঁধে দেয় এনপিপিএ। সংস্থার সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিউবারকিউলোসিস বা যক্ষ্মা রোগের ওষুধ আইসোনায়াজিডের সর্বোচ্চ দাম থাকবে ১.২৯ টাকা। এছাড়াও, টাইপ ২ ডায়াবিটিসের জন্য তৈরি গ্লিক্ল্যাজাইড ইআর ও মেটামরফিন হাইড্রোক্লোরাইডের প্রতি ট্যাবলেটের দাম সর্বোচ্চ ১০.৩ টাকা থাকবে। অন্যদিকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ টেলমিসারটান, ক্লোরোথ্যালিডন, সিনিডিপিনের প্রতি ট্যাবলেটের সর্বোচ্চ দাম ১৩.১৭ টাকা থাকবে বলে জানিয়েছে এনপিপিএ।

গত মে মাসে সংস্থার বার্ষিক সভাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মাফিক এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল এনপিপিএ। অ্যানাস্থেসিয়া বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এর দামও ভায়াল প্রতি ৫৫.৩২ টাকা থাকবে। রক্ত জমাট বেঁধে গেলে তরল করতে ওয়ারফারিন ব্যবহার করা হয়। এর প্রতি ৫ গ্রামের দাম ২.৪০ টাকার মধ্যে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, বিজ্ঞপ্তি পাওয়া মাত্রই যেসব সংস্থা বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করছে, তাদের দ্রুত দাম কমাতে হবে।