Municipality appointment scam: ‘বাম আমলেও পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে’, দাবি নিউ বারাকপুরের চেয়ারম্যানের

পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে গত বুধবার একযোগে বিভিন্ন জেলার পুরসভায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। তারপরেই বাম আমলে পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন নিউ বারাকপুর পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান প্রবীর সাহা। তাঁর অভিযোগ বাম আমলে এই পুরসভায় অনেক জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। যদিও এ বিষয়ে বামেদের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

প্রবীর সাহার অভিযোগ, ১৯৯৬ সালে ৩৩ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময় ছিল বাম সরকার ছিল। শুধু তাই নয় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলও বাম আমলে অনেক সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর হুঁশিয়ারি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করা হলে বাম আমলে দুর্নীতির কথা খোলাসা করা হবে। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে নিউ বারাকপুর পুরসভায় ৩৩ জনকে নিয়োগ হয়েছে। যার মধ্যে ৯৬ সালের পর ২৯ জনকে অ্যাপ্রুভাল দেওয়া হয়েছিল। এমনকী অয়ন শীল ২০০২ সাল থেকে যে কোম্পানি চালাচ্ছে সেটি বাম জমানায় পুরস্কারপ্রাপ্ত। আগে হুগলি জেলা পরিষদ বামফ্রন্টের ছিল। সেখানে পরীক্ষা দিয়েছিলেন অয়ন শীল, পঞ্চায়েতে অয়ন শীল পরীক্ষা দিয়েছেন, স্কুল শিক্ষা পর্ষদেও পরীক্ষা দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা করেছে ইডি। তবে রিপোর্ট দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি সিবিআইকে নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ইডির রিপোর্ট নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘তদন্তের গতি এত শ্লথ কেন? যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন সেগুলি আগেই জানানো হয়েছে। মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট দিয়ে লাভ নেই। এটা একেবারে সন্তোষজনক নয়।’ যদিও ইডির যুক্তি, এই ঘটনায় সিবিআই মূল তদন্ত করছে। ফলে তার ওপর নির্ভর করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। যদিও সিবিআই আদালতে জানায় রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে আদালতে এই রিপোর্ট পেশ করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সিবিআই। এরপরে বিচারপতি আগামী বুধবারের মধ্যে ইডি এবং সিবিআইকে মুখ বন্ধ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।