Yogendra Yadav on NCERT controversy: ‘আমার নাম করে অন্য কেউ লিখেছে এসব’ বই বিতর্কে এনসিইআরটির বিরুদ্ধে তোপ যোগেন্দ্রর

এনসিইআরটি-র নয়া পাঠ্যক্রম নিয়ে এবার সরব হলেন যোগেন্দ্র যাদব ও সুহাস পালসিকর।‌ সমাজ মাধ্যমে পৌঁছে গেল এই নিয়ে তরজা। সম্প্রতি এনসিইআরটি-র বইতে বেশ কিছু বদল এসেছে পাঠ্যক্রমে। সেই নিয়ে সারা দেশেই তোলপাড় চলছে দফায় দফায়। বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞরাও সরব হয়েছেন এই নিয়ে। বিজ্ঞান থেকে বাদ পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক বিষয়। তেমনই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিলেবাস থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। মহাত্মা গান্ধী থেকে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের উপরেও পড়েছে কোপ। ‘যারা ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়, তাদের অপছন্দ করতেন গান্ধিজি’। এই কথা বাদ পড়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই থেকে। অন্যদিকে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে তৈরি সংবিধান কমিটির কথাও বই থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই বাক্যকে জওহরলাল নেহরু, রাজেন্দ্র প্রসাদের নাম দিয়ে বদলে দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন: ওষুধের দাম নিয়ে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের, ডায়াবিটিস-সহ আর কী কী ওষুধ এই তালিকায়

আরও পড়ুন: মুখে দুর্গন্ধ থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, কালপ্রিট এক বিশেষ খাবার, বেশি খাচ্ছেন না তো

এমনই একাধিক কারণে এনসিইআরটির বই নিয়ে সরব হন যোগেন্দ্র যাদব ও সুহাস পালসিকর।‌ প্রসঙ্গত, তাঁরা এনসিইআরটি-র পাঠ্যপুস্তক কমিটি প্রধান উপদেষ্টা। ফলে সব বইতেই তাঁদের নাম ছাপা হয়। সেই নাম ছাপানোকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় বিতর্ক। যোগেন্দ্র ও সুহাস দুজনেই দাবি করেন, বইয়ের সাম্প্রতিক বদল তাঁদের অনুমোদনে হয়নি। তাই তাঁদের নাম নতুন সংস্করণে না ছাপানোর দাবি করেন। এই নিয়ে এনসিইআরটি-কে চিঠিও লেখেন যোগেন্দ্র। কিন্তু এনসিইআরটি-র তরফে তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। একটি অসাক্ষরিত চিঠিতে এনসিইআরটি বলে, ২০০৫-০৮ সালে তৈরি কমিটির সুপারিশ মেনে বই ছাপানো হচ্ছে। এই বইয়ের কোনও একজনের সম্পূর্ণ অবদান নেই। ফলে তাঁর নাম আলাদাভাবে সরানোও সম্ভব নয়। 

কিন্তু যোগেন্দ্র এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, এনসিইআরটি সাম্প্রতিককালে বইয়ে যে বদল করেছে, তা তাঁকে জানানোই হয়নি। এমনকী এই বদলে তাঁর একটুও সায় নেই। তাঁর কথায়, তাঁকে ও সুহাসকে সামনে রেখে পিছন থেকে কেউ এমন সব বদল করে যাচ্ছেন। টুইটার পোস্টে তিনি বলেন, এই বদল যাঁরা করেছেন, তাঁদেরই নাম সরাসরি দেওয়া হোক। যোগেন্দ্র ও সুহাসের নাম সরিয়ে দেওয়া হোক ছাপা বই থেকে।