ডিফেন্স অডিট দফতরের গোপন ছবি বন্ধুকে পাচার, মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ

বাইরে বেরিয়ে গেল ডিফেন্স অডিট দফতরের গোপন ছবি। এখানেই কর্মরত এক মহিলা এই ছবি তুলে তাঁর বন্ধুকে পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ। কারণ সহকর্মীরা তাঁকে নানাভাবেকে হেনস্তা করত বলে অভিযোগ। তারই বদলা নিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতায় থাকা দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের ‘ডিফেন্স অডিট’ দফতরের কয়েকজন সহকর্মী এবং অফিসের ছবি তুলে এক বন্ধুকে পাঠান ওই দফতরেরই এক মহিলা কর্মী। এটা একেবারেই নিয়মবিরুদ্ধ কাজ। সেখানে নিয়ম ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ দফতরের গোপন ছবি তুলে বাইরে পাঠান ওই মহিলা কর্মী। তদন্তে সেটা ধরা পড়লে ওই মহিলা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।

ঠিক কী জানা যাচ্ছে?‌ এই ছবি পাচারের ক্ষেত্রে তদন্তে নেমে দেখা যায়, অভিযুক্ত মহিলা কর্মী সঙ্গীতা চক্রবর্তীর বন্ধুকে ছবিগুলি পাঠানো হয়েছে। যিনি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ সংস্থার মুখ‌্য চিকিৎসক। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই চিকিৎসক আলিপুর আদালত থেকে আগাম জামিন নেন। তবে এই কাজের জন্য আলিপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে সঙ্গীতা দেবীকে। মহিলার কাছে স্পাই ক‌্যামেরা থাকতে পারে বলে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আলিপুর আদালতে ওই মহিলাকে তোলা হলে তাঁকে ১৩ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, সঙ্গীতা চক্রবর্তীর স্বামী প্রতিরক্ষা দফতরে চাকরি করতেন। কর্মরত স্বামীর মৃত্যুতে চাকরি পান স্ত্রী সঙ্গীতা চক্রবর্তী। আলিপুরের ‘ডিফেন্স অডিট’ দফতরে চাকরি পান। তারপর কয়েকজন কর্মী দেখতে পান, ওই মহিলা কর্মী নিজের মোবাইলে দফতরের নানা ছবি তুলছেন। গোপনে সহকর্মীদের ছবিও তোলেন। সিসিটিভির ক‌্যামেরা পরীক্ষা করতেই সেই ছবি ধরা পড়ে। তখন তাঁকে ডেকে জেরা করা হয়। এমনকী সঙ্গীতার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করতেই দেখা যায়, ওই চিকিৎসক বন্ধুকে সঙ্গীতা ছবিগুলি পাঠিয়েছেন। তারপরই বাড়ি থেকে সঙ্গীতাকে গ্রেফতার করা হয়।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সূত্রের খবর, সোশ‌্যাল মিডিয়ায় ওই চিকিৎসক বন্ধুর সঙ্গে আলাপ হয় সঙ্গীতার। স্বামী না থাকায় দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সঙ্গীতার দাবি, অফিসে তাঁকে নানাভাবে সহকর্মীরা হেনস্তা করত। তখন তিনি বিষয়টি চিকিৎসক বন্ধুকে জানান। তাঁর পরামর্শেই সহকর্মীদের ছবি তুলে রাখেন সঙ্গীতা। আর অফিসের কয়েকটি ছবিও তুলে রাখেন মোবাইলে। এই সহকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে খসড়া তৈরি করেন দু’জনে। তবে নাশকতার জন্য এই ছবি তোলা হয়েছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি যাচাই করতে ওই মহিলাকে জেরা করা হচ্ছে।