ভোটে সারা পৃথিবীর মধ্যে শুধু বাংলাতেই অশান্তি হয়, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দিলীপের

পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা হতেই মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। মনোনয়ন জমা নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই জেলায় জেলায় বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। আজ তৃতীয় দিনেও বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে একের পর এক অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে সারা পৃথিবীর মধ্যে শুধুমাত্র পশ্চিম বাংলাতেই ভোটে অশান্তি হয় বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি না মানারও অভিযোগ করেন।

মনোনয়ন পর্বের তৃতীয় দিনে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিন সাংসদ দিলীপ ঘোষ প্রথমে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ২ বিডিও অফিস এবং এরপরে এগরা ১ বিডিও অফিস পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি তিনি দু’টো ব্লকের বিডিও তথা ব্লক নির্বাচন অধিকারীকের সঙ্গেও বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। এদিন কুদিতে এগরা ১ বিডিও অফিসের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূলের লোকেরা নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি মানছেন না। আমি আজকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদাতে নারায়ণগড় বিডিও অফিসে গেলাম। সেখানেও দেখলাম তৃণমূলের লোকজনেরা বিডিও অফিসের সামনের একশো মিটারের মধ্যে ক্যাম্প করে বসে আছে।’

মনোনয়নকে কেন্দ্র করে অশান্তি যাতে না হয় সে বিষয়ে পরামর্শ দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘অশান্তি এড়াতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা না নিয়ে বিডিওদের উচিত এক একদিন এক একটা পার্টিকে মনোনয়ন করতে দেওয়া হোক।’ এরপরেই তিনি বলেন, ‘সারা দুনিয়ায় ভোটে কোথাও অশান্তি হয় না, শুধুমাত্র এখানেই হয়।’প্রসঙ্গত, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির, এমনকী রক্তপাতের ঘটনা সামনে এসেছে। একাধিক জায়গায় বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছিনলেন, ‘আজ পর্যন্ত বাংলা একটিও নির্বাচন রক্তপাত ছাড়া হয়নি। এটি বাঙালির লজ্জা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সঙ্গে বাংলায় হিংসার সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে। এটা বামফ্রন্টের সময় থেকে দেখে আসছি। স্বাধীনতার এত বছর পরেও এখনও এই ধরনের ঘটনা বাঙালির লজ্জা। এখনও রক্তপাত ছাড়া নির্বাচন করাতে পারিনি আমরা।’