সায়ন্তিকার ‘‌পাইলট কার’–এ হামলা–ভাঙচুর, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে‌

পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে সব রাজনৈতিক দলই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আর তারপর থেকেই জেলায় জেলায় অশান্তি শুরু হয়েছে। বিজেপি সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের নামে অভিযোগ তুললেও আজ, সোমবার যে ঘটনা ঘটেছে তাতে নাম জড়িয়ে পড়েছে বিজেপির। এদিন টলি অভিনেত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাইলট কারে ব্যাপক হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিজেপি নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে। আর তাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়া।

এদিকে জয়পুর থানার কুম্ভস্থলে বিজেপি কর্মীরা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি দেখতে পেয়েই ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাইলট কার লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। তার জেরে গাড়ির কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। তবে সায়ন্তিকার চোট–আঘাত লাগেনি। মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে অভিযোগ তুলে বাঁকুড়া–আরামবাগ রাজ্য সড়কের উপর টানা দু’‌ঘণ্টা পথ অবরোধ করা হয়। সেখানে বসে পড়েন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আর সেখান দিয়েই বাঁকুড়া থেকে কলকাতা যাচ্ছিলেন সায়ন্তিকা। তখনই হামলা চালানো হয়।

অন্যদিকে এই হামলা কি পূর্ব–পরিকল্পিত?‌ এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ তাঁর গাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালান বিজেপি কর্মীরা। একদিকে বিজেপি সাংসদ রাস্তা অবরোধ করে বসে আছেন। অন্যদিকে সায়ন্তিকার পাইলট কার ভাঙচুর হচ্ছে। এই দুটি ঘটনাকে সামনে রেখে পূর্ব–পরিকল্পিত হামলার তত্ত্ব তুলে ধরা হচ্ছে। এই ভাঙচুরের গটনার সঙ্গে চলে তুমুল বিক্ষোভ। অশান্তির আবহে ভাঙচুরের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার সোনামুখীতে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি হাতাহাতি হয়। তার জেরে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং বিধায়ক দিবাকর ঘরামির নেতৃত্বে পথ অবরোধ শুরু হয়।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ ওই পথ অবরোধের ফলে জয়পুর থানার কুম্ভস্থলে আটকে যায় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি। তখনই তাঁর পাইলট কার লক্ষ্য করে হামলা নামিয়ে আনা হয়। একদল বিজেপি কর্মী–সমর্থক এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ। তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে আসতে বললে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ এগিয়ে আসে। আর তখন ওই বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ তখন সায়ন্তিকার গাড়ি বিষ্ণুপুরের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যদিও সাংসদ সৌমিত্র খাঁর অভিযোগ, ‘‌সায়ন্তিকা গুন্ডা নিয়ে গুন্ডাগিরি করতে এসেছিল।’‌