Suvendu Adhikari on Power Cut: বিদ্যুৎ ভবনে আচমকা শুভেন্দু! প্রশ্ন তুললেন ঘন ঘন লোডশেডিং নিয়ে

একে তীব্র গরম। তার ওপর ঘন ঘন লোডশেডিং এ জেরবার বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত। কেন এমন পরিস্থিতি? এবার বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের ঘরে ঢুকে গিয়ে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। আচমকা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের দফতরে প্রবেশের ঘটনায় বেশ খানিকটা তোলপাড় শুরু হয়।

গরমের দোসর হয়ে রাজ্যবাসীকে নাজেহার করে তুলেছে লোডশেডিং। গত কয়েক বছরে বাংলায় সেভাব লোডশেডিংয়ের দাপট দেখা না গেলেও, রাজ্যে জুনের প্রথমের দিকে কয়েক পশলা বৃষ্টির মধ্যেই প্যাচপ্যাচে গরম ও লোডশেডিংয়ের জেরে কাহিল মানুষ। এদিকে, এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদে সোমবার বিদ্যুৎভবন ও বিদ্যুৎ উন্নয়নভবনে আসেন শুভেন্দু। দফতর থেকে দফতরে ঘুরে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রশ্ন তোলেন, কেন এত ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে? তিনি সোমবার বিদ্যুৎভবনে যান সিএমডির সঙ্গে দেখা করতে। তারপর সেখান থেকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের দফতরে। কথা বলেন বিদ্যুৎ দফতেরর কর্তাদের সঙ্গে। কেন বিদ্যুৎ পর্যাপ্ত সরবরাহ হচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ উন্নয়নভবনে শুভেন্দু অধিকারী এলেও, তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি সিএমডি। শুভেন্দু সেই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে বলেন, কথা বলতে চেয়েছিলাম সমস্যার সমাধানে, তবে বলার সুযোগ আমাদের নেই, সুযোগ তারা দেবে না। 

এদিকে, শুভেন্দু অধিকারী এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্লোগান তোলেন,’লোডশেডিংয়ের সরকার আর নেই দরকার।’ তিনি অভিযোগ সুর চড়া করে বলেন, রাজ্যে সর্বোচ্চ তিন থেকে চার পাঁচঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, তাঁর কাছে তথ্য রয়েছে যে,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটাও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে পারেননি। উল্টে কোলাঘাট, ব্যান্ডেল বন্ধ করে দিয়েছেন।’ এরপরই গত কয়েকদিনে রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি তুলে ধরেন শুভেন্দু। তুলে ধরেন পরিসংখ্যান। শুভেন্দু বলেন,’ এই ঘাটতি মেটাতে বাংলার মানুষকে লোডশেডিং করে গরমে কষ্টে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন।’