Khaja Moinuddin Chishti University: বিশ্ববিদ্যালয়ের মেসের খাবারে বিড়ি! তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করল কর্তৃপক্ষ

বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবারে টিকটিকি, আরশোলা বা পোকা পাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারে মিলল বিড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। এই রাজ্যের খাজা মইনুদ্দিন চিশতি ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের মেসের খাবারে অর্ধেক খাওয়া বিড়ি পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই খাবারে বিড়ি পাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, সকালের খাবারে মেসের তরফে ইডলির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই ইডলির মধ্যে ওই বিড়ি থাকতে দেখা যায়। সেটি দেখার পরেই পড়ুয়ারা খাবার খেতে অস্বীকার করে। খাবার না খেতেই তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে চলে যান। প্রসঙ্গত, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেসের খাবারে গুণগত মান নিয়ে এর আগেও বহুবার প্রশ্ন উঠেছে। আর এবার খাবারে বিড়ি পাওয়ায় সেই প্রশ্ন আরও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এনবি সিং বলেন, ‘এখনও মেয়েদের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ আসেনি। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, অজয় ​​কৃষ্ণ যাদব বলেছেন, ‘উপাচার্যের নির্দেশে, ডিন অব স্টুডেন্ট তানভীর খাদিজার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য ৩ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। উপাচার্য যেহেতু কমিটি গঠন করেছেন তাই কী ঘটেছে তা রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে। আমরা কমিটির রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলের খাবারের মান নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে। গত মাসে লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হোস্টেলের মেসে খাবারে একটি আরশোলা পাওয়া গিয়েছিল। এরপরেই ছাত্ররা বিষয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানান। এছাড়াও, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য ট্যাঙ্কে শ্যাওলা দেখা গিয়েছিল। শিক্ষার্থীরা ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে যা পরে ভাইরাল হয়ে যায়।