Panchayat vote 2023: হিংসায় তেতেছে বাংলা, সর্বদলীয় মিটিংয়ে কী বললেন শাসক-বিরোধীরা?

পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে  রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে সর্বদলীয় বৈঠক। আর সেই বৈঠক শেষে মুখ খুললেন শাসক বিরোধী উভয় শিবিরই। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটে কিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর জেরে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে  রাজ্য সরকার। অস্বস্তিও বাড়ছে। ভাঙরে ভয়াবহ হিংসা। তার মধ্য়ে অল পার্টি মিটিং। কী বলছেন শাসক- বিরোধীরা?  

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এই সময় রাজ্যে মনোনয়ন নিয়ে যা হচ্ছে তা সকলেই দেখতে পাচ্ছেন।  আদালত রায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী কবে আসবে, কীভাবে আসবে সেটা আামাদের কাছে পরিষ্কার নয়। সর্বদলীয় বৈঠকে আমাদের দলের অবস্থান আমরা জানিয়েছি। এই মিটিং আগে হওয়া দরকার ছিল। ৫০টি ব্লকে এখনও পর্যন্ত মনোনয়ন পড়েনি। আজকে প্রত্যেক বিডিও অফিসে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা বসে আছে। নির্বাচনের দিন একজন করে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে প্রতি বুথে সেটাও নিশ্চিত করতে পারেনি কমিশন। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়েও অবস্থান জানাতে পারেনি কমিশন। 

সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি জানিয়েছেন, আদালত বলেছে কমিশন চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে পারে। কোথা থেকে আসবে তার কোনও উত্তর নেই। গোটা রাজ্যের মানুষ তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এই রাজ্যে কার্যত গণতন্ত্র হত্যার উৎসব চলছে। কমিশন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চাইছে না। রাজ্যের পুলিশ যদি চাইত তবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কেন্দ্রকে সুরক্ষা দিতে পারত না?

কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি জানিয়েছেন, কমিশনের সদিচ্ছা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। সদিচ্ছা যদি না থাকে তবে ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি দেখব। যে ঘটনাবলী রাজ্যে হচ্ছে , হিংসার ঘটনা হচ্ছে, আদালত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য কোনও টাকা চাইতে পারবে না। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও বাহানা দেওয়া যাবে না। 

মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন,  অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। কিছু রাজনৈতিক দল পরিকল্পিতভাবে রাজ্য সরকারকে ছোট করার চেষ্টা করছে। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইছি। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঝামেলা করে রাজ্যে সরকারকে সমস্যায় ফেলছে সেই অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলেছি। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালতের রায় না দেখে কিছু বলব না। ভাঙরের অশান্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কী করে বলব। আমি তো মিটিংয়ে ছিলাম।