I am Nishant: ‘আমিই নিশান্ত,’ মোমোর দোকানে দাঁড়িয়ে ‘মৃত’ জামাইবাবু, মুখ ভর্তি দাড়ি, তারপর…

অবিশ্বাস্য মনে হলেও অনেক ক্ষেত্রেই সত্যি হয় অনেক কিছুই। গল্পের মতো মনে হলেও আসলে সেটা সত্যি। এই যেমন বিহারের এই ঘটনাটি। বিহারের ভাগলপুর জেলার বাসিন্দা এক ব্যক্তি কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তার পরিবারের ধারণা ছিল তিনি হয়তো মারা গিয়েছেন। কিন্তু সেই ব্যক্তিকে পাওয়া গেল নয়ডাতে। সেই মৃত বলে ধরে নেওয়া ব্যক্তি মোমো খাচ্ছেন নয়ডাতে।

২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি। নিশান্ত কুমার নামে ওই ব্যক্তি আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান। অমর উজালার রিপোর্ট অনুসারে ওই ব্যক্তি শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন। তখনই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। বিয়েবাড়িতে যাওয়ার জন্য সেদিন তিনি বেরিয়েছিলেন। তার শ্যালক রবি শঙ্কর সিং মিসিং ডায়েরি করেছিলেন। এরপর নিশান্তের বাবার অভিযোগ তার জামাই এসবের পেছনে রয়েছে। 

কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না নিশান্তকে। সবাই ভেবেছিলেন হয়তো মারা গিয়েছেন তিনি। কিন্তু পাওয়া গেল কীভাবে? 

রবি শঙ্কর জানিয়েছেন,নয়ডার সেক্টর ৫০ এ একটি মোমোর দোকানে দাঁড়িয়েছিলেন রবি শঙ্কর সিং। সেই সময় দেখেন একজন ভিখারিকে তাড়া করেছে মোমোর দোকানের মালিক। একেবারে ছেঁড়া জামাকাপড় পরে রয়েছে সে। ভিখারি বার বার মোমো চাইছিল। এটা দেখে মায়া হয় রবিশঙ্করের। তিনি মোমো দেওয়ার জন্য দোকানের মালিককে অনুরোধ করেন। 

এরপর রবি শঙ্কর তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তোমার নাম কি? ওই ভিখারি বলেন, আমার নাম নিশান্ত কুমার। ঘন গোঁফ দাড়িতে ঢাকা মুখ। একী অবস্থা নিশান্তের। চমকে ওঠেন রবিশঙ্কর। এদিকে নিশান্ত ততক্ষণে তার ঠিকানা, বাবার নাম সব বলে দিয়েছে।  আর দেরি করেননি রবিশঙ্কর।

একথা শুনেই ১০০ ডায়ালে ফোন করেন রবিশঙ্কর। এরপর পুলিশ এসে নিশান্তকে উদ্ধার করে। এরপর সুলতানগঞ্জ থানার সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে। কিন্তু কীভাবে সে দিল্লিতে এল সেটা জানা যায়নি। 

রবিশঙ্কর মিডিয়াকে জানিয়েছেন, এখন আমাদের আশা এবার আমরা ন্যায় বিচার পাব। যারা দোষ করেছে আদালত তাদের শাস্তি দেবে। 

একেবারে অবাক করা ঘটনা। সুলতানগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাওয়া নিশান্তের দেখা মিলল নয়ডাতে। কীভাবে এসেছিলেন সেটা জানা যায়নি। কিন্তু রবিশঙ্করের সঙ্গেই কাকতালীয়ভাবে তার দেখা হয়ে গেল। এতদিন পরে নিশান্তকে দেখেও চিনতে পারেননি তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত নিশান্ত নিজেই তার পরিচয় দেন। এরপরই পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।