বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Japan Airlines 471 crash: কোন ভুলে যমুনার তীরে আছড়ে পড়েছিল জাপানি বিমান? বীভৎস দুর্ঘটনার কারণ আজও অজানা
Updated: 14 Jun 2023, 06:41 PM IST
Sanket Dhar
১৯৭২ সালের ১৪ জুন রাত আটটা। দেশের রাজধানীতেই অবতরণের কথা ছিল জাপান এয়ারলাইন্স ৪৭১-এর। কিন্তু হঠাৎই বিমানবন্দরের ১৬ কিমি কাছে এসে উধাও হয়ে যায় বিমানটি। পরে যমুনা নদীর তীরে পাওয়া যায় বিমানের ধ্বংসাবশেষ।
1/18 ১৯৭২ সাল ১৪ জুন রাত আটটা। জাপান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নাম্বার ৪৭১ বিমানটি দিল্লিতে অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ল্যান্ডিংয়ের ঠিক আগের মুহূর্তে পাইলট কো পাইলটকে বললেন, এবার তাঁর দায়িত্ব। অর্থাৎ কো পাইলটকে ল্যান্ড করাতে হবে বিমান। পাইলট পাশে বসে পর্যবেক্ষণ করবেন। (Wikimedia commons)
2/18 দিল্লির এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) থেকে এই সময় রেডিয়ো বার্তা এল। ল্যান্ডিংয়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হল জ্যাল ৪৭১ (JAL 471)-কে। পালাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (বর্তমানে যেটি ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) ২৮ নম্বর রানওয়ে বরাদ্দ করা হল অবতরণের জন্য। (Wikimedia commons)
3/18 এর পরেই ককপিটের নির্ধারিত প্রস্তুতি শুরু হয়। বিমান অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে থাকেন কো পাইলট। কিন্তু সে রাতে দিল্লির আশেপাশে দৃশ্যমানতা ছিল খুবই কম। সেখান থেকেই শুরু মরণফাঁদের। (Wikimedia commons)
4/18 প্রসঙ্গত এই বিমানের যাত্রাপথ বেশ লম্বা। সাধারণত অনেক দূরে যেতে হলে মাঝপথের বিমানবন্দরে দাঁড়ানোর নিয়ম আছে। বিমানের পরিভাষায় একে স্টপওভার বলে। জাপান থেকে যাত্রা শুরু করে এই বিমানটির গন্তব্য ছিল লন্ডনের হিথরো এয়ারপোর্ট। (Wikimedia commons)
5/18 মাঝপথে মোট ছয়টি স্টপওভার পড়ে জ্যাল ৪৭১-এর। টোকিয়ো এয়ারপোর্ট থেকে উড়ানের পর প্রথমটি হংকংয়ের কাই তাক এয়ারপোর্ট। এর পর দ্বিতীয়টি ব্যাঙ্ককের ডন মুইয়াং ও তৃতীয়টি পালাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এরপর মিশরের কায়রো আন্তর্জাতিক ও জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট হয়ে হিথরো পৌঁছায় বিমানটি। (Wikimedia commons)
6/18 ছয় স্টপওভারের বিমান বিশ্বে খুব কমই। সেদিক থেকে বলাই যায়, জ্যাল ৪৭১ বিরল প্রকৃতির বিমান। স্টপওভারের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য দীর্ঘ পথ চলার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্বালানি ভরে নেওয়া। বিমানবন্দর থেকে তেমন ব্যবস্থাও করা থাকে। (Wikimedia commons)
7/18 আট বছরের পুরনো ডগলাস ডিসি-৮-৫৩ এয়ারক্র্যাফ্টের (বিমানটির প্রকৃতি) ভিতর তখন সব মিলিয়ে ৮৭ জন যাত্রী। এছাড়া, বিমানের গ্রাউন্ডে (যাত্রীদের বসার নিচে আরেকটি তল থাকে, যেখানে মালপত্র ঠাসা থাকে) ছিলেন ৪ জন। ৮৭ জনের মধ্যে ১১ জন বিমান কর্মী। (Wikimedia commons)
8/18 বিমানের যাত্রী আসনে রয়েছেন ব্রাজিলের বিখ্যাত অভিনেত্রী লিইলা ডিনিজ। ২৭ বছর বয়সি লিইলা তাঁর মুক্ত চিন্তাধারার কারণে বেশ পরিচিত। একইসঙ্গে নিজের দেশের তৎকালীন সরকারের চক্ষুশূলও বটে। (Wikimedia commons)
9/18 তাঁর সঙ্গেই একই বিমানে সফর করছেন ডক্টর কেকেপি নরসিংহ রাও। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের প্রবীণ আধিকারিক ডক্টর রাও বিমানের একমাত্র ভারতীয় যাত্রী। (Wikimedia commons)
10/18 অবতরণের প্রস্তুতি হয়ে এলেও ধুলোর কারণে দিল্লির আকাশে দৃশ্যমানতা এক মাইলের কম। ফলে দেখা যাচ্ছে না বিমানবন্দরের আলো। এদিকে এটিসি-এর তরফে অনুমতি পেতেই ল্যান্ডিংয়ের জন্য বিমানকে নিচের দিকে নামাতে শুরু করেন কো পাইলট। (Wikimedia commons)
11/18 উড়ানের আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, অবতরণের সময় দৃশ্যমানতা কম হলে ন্যূনতম নিম্নগামী উচ্চতায় নেমে অপেক্ষা করতে হয়। ন্যূনতম নিম্নগামী উচ্চতা বা মিনিমাম ডিসেন্ট অলটিটিউডের অর্থ বিমান এর থেকে বেশি নিচে নামলে বিপদের আশঙ্কা আছে। কিন্তু কো পাইলট তা করলেন না। (Wikimedia commons)
12/18 সামনের আবছা আবহাওয়ার মাঝেই একটি আলো দেখলেন। ওটাকেই রানওয়ের আলো ঠাউরে আরও নিচে নামতে থাকলেন। এমনকী বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার অর্থাৎ সামনের ছোট চাকাটিও নামিয়ে দিলেন। (Wikimedia commons)
13/18 এর কয়েক সেকেন্ডের মাথায় পাইলট ও কো পাইলট দুজনের চোখেই সামনের দৃশ্য ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে শুরু করল। দেখা গেল, বিমান যেখানে মাটি ছুঁতে যাচ্ছে সেটা মোটেই কোনও রানওয়ে নয়। বরং রাতের অন্ধকারের মাঝেই বিমানের আলোয় ফুটে উঠছে জলজ্যান্ত লোকালয়! (Wikimedia commons)
14/18 মুহূর্তের মধ্যে পাইলটের নির্দেশ – পাওয়ার আপ। অর্থাৎ সর্বোচ্চ শক্তিতে বিমানটিকে উপরের দিকে তুলতে হবে। কিন্তু ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। কো পাইলটের শেষ চেষ্টা সত্ত্বেও, বিমান আছড়ে পড়ল যমুনার তীরে। (Wikimedia commons)
15/18 ১৯৭২ সালের ওই ঘটনায় ৮৭ জন যাত্রীদের মধ্যে ৮২ জনই মারা যান। ১১ জনের মধ্যে একজন বিমান কর্মী বেঁচে যান । গ্রাউন্ডে থাকা চারজনেরই সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়। উদ্ধারকারীদের তৎপরতায় বিমান থেকে ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়। (Wikimedia commons)
16/18 ব্ল্যাকবক্সে পাইলট কেবিনের সব কথাই রেকর্ড হয়ে থাকে। তার ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত। ঠিক কী কারণে বিমানটি ক্র্যাশ করল? নানা তত্ত্ব উঠে আসতে থাকে। ভারত ও জাপানের তদন্তকারী দল আলাদা আলাদা কারণ চিহ্নিত করলেন। (Wikimedia commons)
17/18 ভারতীয় দলটির কথায়, পাইলটদের ভুলেই বিমানবন্দর পৌঁছানোর আগেই নিচে নামতে শুরু করে বিমান। দৃশ্যমানতা কম হলেও অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। যা বড়সড় গাফিলতি ছিল বলে মনে করেন তদন্তকারী দল। (Wikimedia commons)
18/18 অন্যদিকে জাপানের তদন্তকারী দল দাবি করে, বিমানকে এটিসির তরফে ভুল গ্লাইড পাথের নির্দেশ দেওয়া হয়। গ্লাইড পাথের অর্থ যে পথ ধরে বিমানটি নিচে নামতে শুরু করবে ও শেষে রানওয়ে ছোঁবে। দুই দলের আলাদা আলাদা দাবিতে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। আসল কারণ শেষ পর্যন্ত অজানাই থেকে যায়। (Wikimedia commons)
পুরো গ্যালারিটির জন্য এই বিজ্ঞাপনটি দেখতে হবে
অন্য গ্যালারিগুলি