Manipur Violence: মণিপুরে ফের হিংসা, ৯জনের মৃত্যু, ১০জন আহত, গুলির লড়াই গ্রামে

উৎপল পরাশর 

ইম্ফলের পূর্ব জেলায় মঙ্গলবার রাতে ফের অহিংসার ঘটনা। ৯জনের মৃত্যু হয়েছে। ১০জন আহত। আবার হিংসা মণিপুরে।সেই ৩ মে থেকে অশান্তির সূত্রপাত। মৈতেয়ী ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্য়ে জাতিগত সংঘর্ষের জেরে হিংসার সূত্রপাত। এই মৃত্যুর সংখ্যাটা ধরলে মোট সংখ্য়া দাঁড়াল ১১৫জন। 

সূত্রের খবর, ইম্ফল পূর্ব ও কাঙ্গপোকই গ্রামের সীমান্ত বরাবর হিংসার ঘটনা হয়েছে। রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্য়ে এই ঘটনা। কুকি সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা চালান দুষ্কৃতীরা। 

এদিকে একাধিক মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে যারা মারা গিয়েছেন তারা মৈতেয়ী সম্প্রদায়ের। তবে হিন্দুস্তান টাইমস এটা নিশ্চিত করতে পারেনি। সূত্রের খবর, সুরক্ষা বাহিনী ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যায়। তারপরই শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই। 

ইম্ফল পূর্বের পুলিশ সুপার কে শিবাকান্ত সিং জানিয়েছেন, ১০টা-১০-৩০ নাগাদ গ্রামে গুলির লড়াই চলে। ৯জনের মৃত্যু হয়েছিল। ১০জন আহত হয়েছিলেন। সমস্ত আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

তবে পুলিশ জানিয়েছে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। এদিকে কুকি সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সশস্ত্র মৈতেয়ীরা হামলা চালিয়েছিল। প্রথমদিকে  কুকি স্বেচ্ছাসেবকরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করেন। তারাও সশস্ত্র ছিলেন। পরে হামলার মাত্রা বাড়তে থাকায় তারা এলাকা ছেড়ে পালান। এরপর অসম রাইফেলস এলাকায় যায়। এরপর শুরু হয় গুলির লড়াই।  তার জেরেই মৃত্যু ও আহতের সংখ্য়া বাড়তে থাকে। 

এদিকে মণিপুরে অশান্তি থামাতে কেন্দ্রীয় সরকারও হস্তক্ষেপ করেছিল। সম্প্রতি মণিপুরের চারদিনের সফরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সকলের কাছে তিনি অনুরোধ করেছিলেন যাতে মণিপুরে দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই সময় জানিয়েছিলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এই সুন্দর রাজ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পারব।

সফরের একেবারে শেষ দিনে তিনি জানিয়েছিলেন, সকলে শান্তি বজায় রাখুন। যত শীঘ্র সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করুন। সেই সঙ্গে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য় তিনি আবেদন করেন। এমনকী অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য়ও তিনি অনুরোধ করেছিলেন।

অন্যদিকে মণিপুর হিংসার ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য়ের তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। 

এই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির একেবারে মাথায় গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অজয় লাম্বা। আরও যে দুজন এই প্যানেলে রয়েছেন তাঁরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস হিমাংশু শেখর দাস ও আইপিএস অলোকা প্রভাকর।