Consume phenyl inside courtroom: ভরা আদালত কক্ষে ফিনাইল খেলেন চারজন, কারণটা জানলে অবাক হয়ে যাবেন

একেবারে হাড়হিম ঘটনা গুজরাট হাইকোর্টের ভেতরে। বৃহস্পতিবার গুজরাট হাইকোর্টের কোর্টরুমের মধ্য়েই ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চারজনের। তার মধ্য়ে দুজন একই পরিবারের। একটি সমবায় ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্য়ানেজারকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তারই প্রতিবাদে চারজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে খবর। সেটাও আবার কোর্ট রুমের ভেতর।

তবে ঘটনার পরেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। তাদের দ্রুত সোলা সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে সেখানে তাদের শারীরিক পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল। তাদের জ্ঞান ফিরেছে বলে খবর।

সূত্রের খবর, কালার মার্চেন্ট সমবায় ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার কিন্নর শাহ সহ চারজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছিল। এক দম্পতি এনিয়ে প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁরাই এদিন ফিনাইল খেয়ে ফেলেন। 

ওই দম্পতি অভিযোগ করেছিলেন, কিন্নর শাহ তাদের না জানিয়ে তাদের সম্পত্তি বন্দক রেখে ১.৬০ কোটি টাকা লোন দিয়েছিলেন। ১৩ জুন আনন্দনগর থানায় এনিয়ে তারা এফআইআর দায়ের করেছিলেন। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের জন্য় আবেদন করেন কিন্নর শাহ। আর বিচারপতি নির্জর দেশাই সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। 

এদিকে এদিন বিচারপতি সবে আদালতের নির্দেশটা জানিয়েছিলেন। একে একে আইনজীবীরা যে যার মতো বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ওই ব্যক্তির স্ত্রী আচমকা দাঁড়িয়ে উঠে কোর্টের নির্দেশের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। তিনি একেবারে দ্বিতীয় সারিতে বসেছিলেন। এদিকে সেই সময় তিনি ফিনাইল খেয়ে ফেলেন। এরপর বাকিরাও ফিনাইল খাওয়া শুরু করতেই পুলিশ এসে তাদের আটকায়। এদিকে লাইভ ক্যামেরায় গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে। দ্রুত তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবে এভাবে কোর্ট রুমের মধ্য়ে ফিনাইল খাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে যায় কোর্ট চত্বরে। 

গুজরাট হাইকোর্ট অ্য়াডভোকেটস অ্য়াসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট প্রুথভিরাজসিন জাদেজা জানিয়েছেন, জরুরীকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য় অ্যাম্বুল্যান্স রেডি থাকে কোর্ট চত্বরে। সেই অ্যাম্বল্যান্সে করেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য় তাদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।