Coromandel Express Accident: সিগন্যাল ব্যবস্থায় ‘শর্টকাট’, করমণ্ডল দুর্ঘটনার আগেই উদ্বেগের চিঠি রেলবোর্ডের

করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তারপরই সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য়। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে গত এপ্রিলেই সিগন্যালের স্টাফেদের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল রেলওয়ে বোর্ড। ৩ এপ্রিলের রেলওয়ে বোর্ডের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে একাধিক রেল জোনে অন্তত ৫টি এধরণের দুর্ঘটনা হয়েছে। এই দুর্ঘটনাকে উদ্বেগের বলে উল্লেখ করেছিল রেল বোর্ড। 

সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, পয়েন্টের উপযুক্ত পরীক্ষা না করেই সিগন্যালের গিয়ারগুলিকে ফের সংযুক্ত করা হচ্ছে। এনিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল রেলওয়ে বোর্ড। তবে তাদের তরফ থেকে এনিয়ে বার বার সতর্ক করা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু তারপরেও বাস্তব পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। কোনও প্রটোকল না মেনেই সিগন্যালিংয়ের স্টাফরা নানা ধরনের সর্টকাট করার চেষ্টা করছেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল রেলওয়ে বোর্ড। 

গত এপ্রিল মাসেই রেলওয়ে বোর্ড জানিয়েছিল পর্যাপ্ত পয়েন্ট টেস্টিং না করেই সিগন্যালিংয়ের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা নানা ধরনের সর্টকাট পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। তবে বোর্ড বার বার করে উপযুক্ত পদ্ধতি মেনে কাজ করার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিল। কখন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে ও কখন সংযোগ দেওয়া হচ্ছে সেই সংক্রান্ত মেমো অপারেটিং স্টাফদের জানানোর ব্যাপারেও বলা হয়েছিল। 

অন্যদিকে কার্যত সিগন্য়ালিং ব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রেলবোর্ড। অফিসার ও কর্মীরা যাতে সুরক্ষার দিকে বিশেষ নজর দেন সেব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সুরক্ষা সংক্রান্ত সাপ্তাহিক মিটিং করার ব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল রেলবোর্ডের তরফে। প্রতিটি ডিভিশনাল ও রেলের সদরদফতরে যাতে এই ধরণের মিটিং করা হয় তার উপর জোর দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও করমণ্ডলের মতো দুর্ঘটনা ফের আরও একবার রেলের সুরক্ষাকে প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে। 

গত ২ জুন ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। বহু মানুষের মৃত্যু হয়। করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ও একটি পণ্যবাহী গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়।  তবে তারপরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও অন্য়ান্য় আধিকারিকরা প্রাথমিকভাবে সিগন্য়াল ব্যবস্থার কোনও গলদের দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। 

তবে সূত্রের খবর, রেলের সিগন্য়ালিং ব্যবস্থার ক্ষেত্রে নানা সর্টকাট ও তার পরিণতি কী ভয়াবহ হতে পারে তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল রেলবোর্ড। তবে কি সেই সুপারিশ মানতে চায়নি রেলকর্মীরা? সেই সুপারিশ মানলে কি এত বড় দুর্ঘটনা, এত প্রাণহানি এড়ানো যেত?