Delivery Man beaten as Child lies: ‘জোর করে…’, ৮ বছরের মেয়ের মিথ্যার জেরে বেধড়ক মার খেলেন ডেলিভারি ম্যান

শিশু মানেই নিষ্পাপ, সাধারণত এমনটাই ভাবি আমরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের কথা চোখ বন্ধ করে মেনে নেওয়া হয়। তবে আট বছর বয়সি এক মেয়ের মিথ্যা কথার কারণে বেধড়ক মার খেলেন এক ফুড ডেলিভারি ম্যান। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক সিটি এলাকায়। সেখানকার নীলাদ্রি রোডের এক আবাসনে খাবার দিতে গিয়েছিল ৩০ বছর হয়সি এক ডেলিভারি ম্যান। সেই বাড়িতেই থাকে এক শিশু। সেই শিশু ছাদে খেলা করছিল। তবে পরে সে অভিযোগ করে যে ডেলিভারি ম্যান জোর করে তাকে ছাদে নিয়ে যায়। এরপর অভিযুক্ত ডেলিভারি ম্যানকে বেধড়ক মারা হয়। পরে অবশ্য পাশের একটি বাড়িতে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজ থেকে সত্যিটা সামনে আসে।

পাশের একটি পেয়িং গেস্ট বিল্ডিংয়ে লাগানো এক ক্যামেরা থেকে দেখা যায়, ছোট্ট মেয়েটি একাই ছাদে ওঠে। তার সঙ্গে কেউই ছিল না সেই সময়। সে একাই ছাদে খেলা করছিল। পরে কোনও কারণে সেই ডেলিভারি ম্যানের নামে মিথ্যা বলে শিশুটি। সেই শিশুর কথা প্রথমেই বিশ্বাস করে নেয় এবং ডেলিভারি ম্যানকে বেধড়ক মারে।

জানা গিয়েছে, গত ১২ জুন সেই আবাসনে বসবাসরত দম্পতি নিজেদের ছোট মেয়েকে ঘরে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তারা সেই বিল্ডিংয়ের আট তলায় থাকত। তারা তাদের ছেলেকে স্কুলে দিয়ে বাড়ি ফিরেছিল সকাল ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ। তখনই তারা দেখে ফ্ল্যাট ফাঁকা। এই ঘটনার প্রায় ৩০ মিনিট পর এক প্রতিবেশী দেখে শিশুটি ছাদে। তখন শিশুটি তার বাবা-মাকে বলে, ‘একজন ফুড ডেলিভারি ম্যান ঘরের কলিং বেল বাজায়। যখম দরজা খুললাম তখন সে জোর করে আমাকে টেনে ছাদে নিয়ে যায়। আমি তার হাতে কামড় দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নিই।’ এরপর সেই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীকে নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে কোনও ডেলিভারি ম্যানকে আবাসন থেকে বাইরে না যেতে দেওয়া হয়। এদিকে সেই সময় আবাসনে একজন ফুড ডেলিভারি ম্যান ছিলেন। সেই যুবককে সেই শিশুর সামনে দাঁড় করালে সে অভিযোগ করে যে ওই নাকি জোর করে ছাদে নিয়ে গিয়েছিল। এরপরই বেধড়ক মারা হয় সেই ডেলিভারি ম্যানকে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় পুলিশ।

তদন্তে নেমে পুলিশ দেখতে পায় যে আবাসনের পাশে একটি মহিলা পিজি-তে সিসিটিভি বসানো রয়েছে। সেই সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে যে ছাদে সেই শিশু একাই গিয়েছিল। পরে সেই শিশু মেনে নেয় যে সে মিথ্যা কথা বলেছিল। সে বলে, ‘আমি ছাদে গিয়েছি শুনলে মা-বাবা আমাকে মারত। তাই ভয়ে আমি মিথ্যা কথা বলেছিলাম।’ পরে সেই ডেলিভারি ম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় সেই মেয়েটির মা-বাবা। এদিকে সেই ডেলিভারি ম্যান উলটে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তিনি জানান, তাঁর পাঁচ বছর বয়সি একটা মেয়ে আছে। তাই সেই পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন। জানা গিয়েছে, সেই ডেলিভারি ম্যান অসমের বাসিন্দা। তিনি জানান, স্বপরিবারে শীঘ্রই তিনি নিজের রাজ্যে ফিরে যাবেন।