Groom tied to tree: পণ না দিলে মালাবদল করব না, আবদার শুনেই বরকে গাছে বাঁধলেন বিয়েবাড়ির লোকজন

বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান। বরও চলে এসেছে। একেবারে সাজো সাজো ব্য়াপার। এমন সময়ই ঠিক মালাবদলের আগে বর বললেন আমাকে আগে পণ দিতে হবে। এদিকে এভাবে মালাবদলের আগে যৌতুকের কথা শুনে হতবাক কনের বাড়ির লোকজন। এরপরই বরকে বেঁধে ফেলা হয় গাছের সঙ্গে। আসলে এভাবে ঠিক বিয়ের আগে যৌতুকের দাবি তুলে বিয়েতে বেঁকে বসার ঘটনা মানতে পারেননি অনেকেই। সেই সংক্রান্ত ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের ঘটনা।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ আসে গ্রামে। এরপর পুলিশ এসে বর ও কনে দুই পক্ষকেই থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে গিয়ে বিষয়টি মিটমাট করার জন্য চেষ্টা চালায় পুলিশ। কিন্তু সমস্যা মেটেনি।

 

গোট ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। কনের বাড়ির লোকজনও প্রচন্ড রেগে যান। তারা বরকে নানাভাবে বকাঝকা করেন। তবে বর একেবারে নীরব। তাকে গাছেও বেঁধে ফেলা হয়েছিল। একেবারে নতুন পাঞ্জাবি পরে তিনি গাছে বাঁধা অবস্থায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন। বিয়ে করতে এসে একী বিপত্তি। এদিকে কনের বাড়ির লোকজন চিৎকার করে বলতে থাকেন, একজনের ইজ্জত, মর্যাদার সঙ্গে লড়ছ। লজ্জা করছে না তোমাদের। এরপর একেবারে গাছের সঙ্গে শক্ত করে বেঁধে ফেলা হয় ওই বরকে।

মুহূর্তে বদলে যায় বিয়ে বাড়ির পরিবেশ। নতুন ধুতি, পাঞ্জাবি পরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বর। তাকে একেবারে শক্ত করে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ছবি দেখে নেটপাড়ায় নানা মন্তব্য ভেসে এসেছে।

এদিকে দুপক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে বসে পুলিশ বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছু হয়নি।

তবে পণপ্রথা একটা কুপ্রথা। এই প্রথার বিরুদ্ধে বার বার সরকারের তরফে নানা সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়। সাধারণ মানুষকে এনিয়ে সচেতন করা হয় বার বার। কিন্তু তারপরেও এখনও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই কুপ্রথা থেকেই গিয়েছে।

তবে এবার বর বিয়ে করার ঠিক আগে জানিয়ে দিয়েছিল তার পণ চাই। না হলে তিনি বিয়ে করবেন না। তবে চাপ দিয়ে পণ আদায়ের সেই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত ধোপে টিকল না। বাসিন্দারা বরবেশে থাকা যুবককে বেঁধে ফেলেন গাছের সঙ্গে। সেই সঙ্গে তাকে নানাভাবে হেনস্থা করা শুরু হয়ে যায়।